বিবিসি জানায়, কোভিড রোগীদের কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানানোর জন্য মানুষজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের এই সংঘর্ষ বাধে।
কোভিড মোকাবেলায় সাংহাইয়ে জারি থাকা লকডাউন তৃতীয় সপ্তাহে পড়েছে। বেশ কয়েকটি আবসিক ভবনে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
লকডাউনের কারণে সাংহাইয়ে লাখো নাগরিক বাড়িতেইআটকে আছেন। পরীক্ষায় যাদের করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ছে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
কোভিড মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপের পরও প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ নতুন করে কোভিড শনাক্ত হচ্ছে। সেকারণে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত স্থান খুঁজে পেতে কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে সাংহাইয়ে এক্সিবিশন হল ও স্কুলগুলোকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। লকডাউনে বাসিন্দারা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না বলে স্যোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করছে।
রাষ্ট্রীয় কোয়ারেন্টিনে মানুষকে বাধ্য করারও অভিযোগ করছে তারা। কারণ, কর্তৃপক্ষ দৈনিক সংক্রমিতদের জন্য বাড়িতে কয়েক হাজার শয্যা তৈরি করতে চাইছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কম্পাউন্ডের বাইরে এসে বাসিন্দারা পুলিশের সামনে চিৎকার করছে। একটি ক্লিপে পুলিশকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করতে দেখা যায়।
হাউজিং কমপ্লেক্স ঝাংজিয়াং গ্রুপ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জায়গা দেওয়ার জন্য ৩৯টি পরিবারকে কম্পাউন্ড থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।