বিলটি তিনি আবার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন
বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তার মুখপাত্র মার্টিন অ্যান্ডানার।
রয়টার্স লিখেছে, আগামী ৯ মে অনুষ্ঠেয় দেশটির সাধারণ
নির্বাচনকে মাথায় রেখে চলতি বছরের শুরুতে সোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং ভুয়া খবর
নিয়ন্ত্রণে বিলটিতে সায় দিয়েছিলেন আইনপ্রণেতারা। তবে দুতের্তের ভিটোর কারণে
প্রস্তাবিত আইনটি নির্বাচনের আগে পাস হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল।
ফিলিপিন্সে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুই
চেম্বারের (কংগ্রেস ও স্থানীয় সরকার) কয়েক হাজার আসনের ভোটের প্রচারে শক্তিশালী
মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে সোশাল মিডিয়া।
২০১৬ সালের নির্বাচনে দুতের্তের বিজয়ের ক্ষেত্রে এ
মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তবে বিরোধীদের কোনঠাসা করার পেছনে
প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের ট্রল এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের ভুয়া প্রচারকে দায়ী করেন
সমালোচকরা।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মার্টিন অ্যান্ডানার বলেন,
সাইবার এবং অন্যান্য অনলাইন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনপ্রণেতাদের উদ্যোগে প্রশংসা
করেছেন দুতের্তে। কিন্তু বিস্তারিত নীতিমালা না থাকায় তিনি বিলে সায় দেননি।
“অসম্পূর্ণ নীতিমালার ফলে রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের ভয়ঙ্কর
সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং নজরদারির কারণে সাংবিধানিক অনেক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।
“প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং বাক
স্বাধীনতা রক্ষার মত সাংবিধানিক অধিকার যাতে আইনে নিশ্চিত হয়, সেটাই চাইছে
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।”
ফিলিপিন্সের জন্য ‘নিরাপদ সাইবার পরিবেশ তৈরিতে শক্তিশালী
ও কার্যকর আইন প্রণয়ন করতে’ বর্তমান বিলে প্রেসিডেন্ট বাধা দিয়েছেন বলে মুখপাত্রের
ভাষ্য।