স্বজনদের
অভিযোগ, রবিউল ইসলাম খান নামের ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের
নির্যাতনে কারণে।
অন্যদিকে
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলছেন, ময়নাতন্ত হলেই ‘মৃত্যুর আসল
কারণ’ জানা যাবে।
লালমনিরহাট
সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকায় পহেলা বৈশাখের মেলা বসে
বৃহস্পতিবার। ওই মেলার পাশেই জুয়ার আসর বসানো হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার বলেন, জুয়ার খবর পেয়ে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে লালমনিরহাট সদর থানার
পুলিশ সেখানে অভিযানে যায় এবং ধাওয়া করে দুজনকে আটক করে।
তাদের
মধ্যে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজির চওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে রবিউল ‘অসুস্থ হয়ে
পড়লে’ থানায় না নিয়ে তাকে সরাসরি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ
কর্মকর্তা রবিউল বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই যুবককে
রংপুরে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। রংপুরে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে রাত সাড়ে
১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর
পেয়ে রবিউল খানের স্বজনরা ছুটে আসেন সদর হাসপাতালে। শোকের মাতমে ভারি হয়ে ওঠে
হাসপাতালে পরিবেশ।
তার মা
সাফিয়া বেগম (৪৫) বিলাপ করে বলতে থাকেন, “আমার ছেলে কখনো জুয়া খেলে না, সে মেলায়
গেছে দেখতে, পুলিশ মারপিট করে মেরে ফেলেছে, আমি বিচার চাই।”
এদিকে
রবিউল খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী এবং স্বজনরা মহেন্দ্রনগর বটতলা
এলাকায় কাঠের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রংপুর-লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে।
বিক্ষোভের
মধ্যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। অবরোধের
কারণে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এ সময়
সড়কের দুপাশে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ভোর ৪টার
দিকে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
নির্যাতনের
অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, “সে নির্যাতনে মারা গেছে
না অন্য কোনো কারণে মারা গেছে, এটার জন্য তদন্ত হবে, এটার জন্য পোস্ট মর্টেম হবে।
মোস্ট মর্টেম করলেই সত্যটা প্রকাশিত হবে।”