ক্যাটাগরি

হাওরে ‘বন্যার ঝুঁকি’, পাকা ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ

এ তিন জেলার
পাশাপাশি উজানের ঢলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদনদীর
পানিও দ্রুত বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

শুক্রবার
সিলেটে সারিগোয়াইন নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রের
তথ্যে দেখা গেছে।

আগামী ২৪
ঘন্টায় ভারি বৃষ্টিপাতে এসব জেলার নদনদীর পানি আরও কিছু স্থানে দ্রুত বাড়তে পারে। এতে
সুরমা নদী সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ধনু বাউলাই নদী নেত্রকোণা জেলায় কিছু পয়েন্টে
বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে
পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার বিশেষ সতর্কতার পূর্বাভাস দিয়েছে।

এমন পূর্বাভাসের
পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বন্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকা বোরো ধান ৮০% শতাংশ পাকলে দ্রুত
সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. শাহ কামাল।

বন্যা পূর্বাভাস
ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ৪৮
ঘণ্টা মধ্যে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু
স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এতে ৭২-৯৬
ঘণ্টার মধ্যে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার কিছু পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম
করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

কৃষি পরামর্শ

শনিবার
সুনামগঞ্জে দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরে বাঁধ ও ধানখেত পরিদর্শন করবেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর
রাজ্জাক। সদর উপজেলার জাওয়ার হাওরে আগামজাত বিনা ধান-১৭ কাটা ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়
করার কথা রয়েছে তার।

এদিকে আকস্মিক
বন্যার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় জরুরি কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর।

>>
বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকন জায়গায় রাখুন।

>>
দ্রুত পরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করে ফেলুন। নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন। জমির আইল উঁচু
করে দিন।

>>
সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রদান থেকে বিরত থাকুন। পুকুরের চারপাশ উঁচু করে দিন।

>>
সম্ভব হলে চারপাশ জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দিন যেন বন্যার পানিতে মাছ ভেসে না
যায়।

তাপপ্রবাহ অব্যাহত, সর্বোচ্চ রাজশাহীতে
৪১.২ ডিগ্রি

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও
খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, চলমান এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে শনিবারও।
পরের দুই দিনে উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।

এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এসময় রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা
তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয়
মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।

নববর্ষের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তাপপ্রবাহ
শুরু হয়। শুক্রবারও তা অব্যাহত থাকে।

সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হরেয়ছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়
এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/
ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে
কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন:


সুরমায় বাড়ছে পানি, বাঁধ টেকানোর লড়াই
 

বৃষ্টি আসছে, হাওরে ফের বন্যার শঙ্কা
 

সুনামগঞ্জে ‘সব হাওরের ফসল ঝুঁকির মধ্যে’
 

হাওরে শুরু হল ধান কাটার উৎসব
 

ডুবেছে চাপতির হাওর, গ্রামে-গ্রামে মাতম