নতুন এই ফিচার পরীক্ষা
করার ঘোষণা এসেছে বৃহস্পতিবার।
ফিচারটি সেই সকল গ্রুপকে
একসঙ্গে আনবে, যেগুলোতে সর্বোচ্চ ২৫৬ জন ব্যবহারকারী রয়েছেন। ফলে, অ্যাডমিন অসংখ্য
ব্যবহারকারীর একটি গ্রুপকেও সহজে সতর্কবার্তা পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ
প্রধান উইল ক্যাথকার্ট।
“এটি আসলে সেই গ্রুপগুলোকে
ভিত্তি করে তৈরি, যেসব গ্রুপ এরইমধ্যে আপনার জীবনের অংশ এবং আপনি যাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত
যোগাযোগ রক্ষা করছেন।” –রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ক্যাথকার্ট।
সেলসফোর্স-মালিকানাধীন
‘স্ল্যাক’ অথবা ‘মাইক্রোসফট টিমস’-এর মতো যোগাযোগ মাধ্যমকে ফিচারটির তুলনা হিসেবে উল্লেখ
করেছেন তিনি।
নতুন ফিচারটি থেকে অর্থ আয়ের কোনো পরিকল্পনা
‘আপাতত নেই’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিচারটির ‘বেটা’ পরীক্ষা হয়েছে হাতে
গোনা কয়েকটি বৈশ্বিক গ্রুপের উপর। তবে ভবিষ্যতে ‘প্রিমিয়াম ফিচার’ আসার সম্ভাবনা একেবারে
উড়িয়ে দেননি তিনি।
‘এন্ড-টু-এন্ড’ এনক্রিপ্ট করা এই মেসেজিং
সেবায় প্রায় ২০০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন। কমিউনিটিস ফিচারটিও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট
করা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সেবাটি এমন সময়ে আসছে যখন হোয়াটসঅ্যাপের
বিরুদ্ধে ‘বাল্ক মেসেজিং’, গুজব ও নেতিবাচক বক্তব্য ছড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
তবে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী
চাইলেই বিভিন্ন কমিউনিটি সার্চ করতে পারবেন না। নতুন ফিচারটির জন্য প্রতিষ্ঠানটি ‘অ্যান্টি-অ্যাবিউজ’
টুল এবং মেসেজ ফরোয়ার্ডিংয়ে সীমা বেঁধে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করছেন ক্যাথকার্ট।
কমিউনিটিস ফিচারটি
চালু হওয়ার আগে ‘গ্রুপস’ ফিচারেও পরিবর্তন আনার কথা বলেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
গ্রুপ চ্যাট থেকে
‘আপত্তিকর’ মেসেজ সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে অ্যাডমিনদের। এ ছাড়া ৩২ জন পর্যন্ত ‘ভয়েস
কলিং’-এর সুবিধা, দুই গিগাবাইট পর্যন্ত ফাইল শেয়ারিং সুবিধা এবং মেসেজে ইমোজি প্রতিক্রিয়া
যোগ করার উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপটি।
আসন্ন মাসগুলোর মধ্যে
কমিউনিটিস ফিচারটি আসতে পারে বলে বৃহস্পতিবার ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছেন মেটা প্রধান
মার্ক জাকারবার্গ।
কমিউনিটি মেসেজিং ফিচারটি
হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ফেইসবুক, মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামেও আনার বিষয়টিও উল্লেখ
করেছেন তিনি।
প্রাইভেসির দিকে জোর
দিতে, নিজেদের অন্যান্য মেসেজিং সেবাতেও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন আনার পরিকল্পনা করছে
মেটা।