ক্যাটাগরি

চট্টগ্রামে চুরি হওয়া শিশু হবিগঞ্জে উদ্ধার

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খবরা এলাকা থেকে শুক্রবার এ শিশুকে উদ্ধারের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কুলসুম বেগম ওরফে কুসুম (২৭), তার স্বামী  মো. সোহেল (২৯) ও সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)।  

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত বুধবার সকালে রৌফাবাদ এলাকার রাজা মিয়া কলোনি থেকে ১৮ মাস বয়েসী শিশুটিকে চুরি করেন কুলসুম। পরে তিনি তার কথিত স্বামী সোহেল ও খোরশেদাকে নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে চলে যান। শুক্রবার মাধবপুরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিশুটির মা মুক্তা বেগম পোশাক শ্রমিক ও বাবা আব্দুল খালেক মাংস বিক্রেতা। রাজা মিয়া কলোনিতে কয়েক বছর ধরে তারা ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা কাজে যাওয়ার সময় তাদের ১২ বছর বয়েসী মেয়ের কাছে ছোট মেয়েটিকে রেখে গিয়েছিলেন।

বড় বোন রান্না ঘরে গেলে কুলসুম ঘরে ঢুকে ছোট বোনটিকে ‘চুরি’ করে নিয়ে যায় বলে পুলিশের ভাষ্য।

বাসায় এসে মুক্তা তার ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। তাতেও না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

ওসি জানান, মুক্তার অভিযোগের পর আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তার ছেলেকে এক নারী কোলে করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। এসময় কুলসুমার ছবি শনাক্ত করা গেলেও কেউ তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে পারছিলেন না। শুধু জানা যায় কয়েক মাস করে করে কুলসুমা রৌফাবাদ এলাকায় বিভিন্ন বাসায় ছিলেন। একপর্যায়ে কুলসুমার পরিচয় নিশ্চিত করে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “কুলসুমা ও সোহেল নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করলেও কোন প্রমাণপত্র তারা দেখাতে পারেনি। সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজারে হলেও আগে চট্টগ্রাম থাকতেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে সে হবিগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে যায়। কিন্তু তার মা খোরশেদা আমিন কলোনিতে থাকতেন।”

ওসি জানান, মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ১২ এপ্রিল সোহেল চট্টগ্রামে আসেন। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে তার মামলার হাজিরা ছিল। ওই দিন কুলসুমা রাজা মিয়া কলোনী থেকে শিশুটি চুরি করে আমিন কলোনীতে খোরশেদের মায়ের বাসায় চলে যায়।

সেখান থেকে তারা বিকালের ট্রেনে হবিগঞ্জের মাধবপুর চলে যায় বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান। 

ওসি বলেন, শিশু চুরির বিষয়ে কুলসুমা ও খোরশেদ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে পুলিশকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।