ক্যাটাগরি

‘বিভেদ ভুলে’ ঐক্যবদ্ধ  হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

শনিবার গুলশানে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয়
পার্টির (কাজী জাফর) ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে
এক দিকে বাংলাদেশের ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থা, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা, দুর্নীতি
সর্বব্যাপী অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় অবস্থা আর অন্যদিকে রাজনৈতিক অবস্থা।

“এই
ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব অনেক বেশি,
এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

এজন্য দলগুলোর মধ্যে থাকা যে কোনো ধরনের
বিভেদের অবসান ঘটানা আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

“আমাদের
ছোট-খাটো ভুল বুঝাবুঝি, ছোট-খাটো বিভেদ সব ভুলে গিয়ে শুধু গণতন্ত্রকে এখানে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের ভোটের
অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

“সেজন্য
আমরা সবসময় জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি, জাতীয় ঐক্যের ওপরে আমরা অত্যন্ত গুরত্বরোপ
করছি।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আসুন
আমাদের মধ্যকার ছোট-খাটো বিরোধ ভুলে গিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশকে
রক্ষা করার জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ
হয়ে এই যে জালেম গণতন্ত্রবিরোধী সরকার যারা, আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে তার
বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে সরে যেতে বাধ্য করি, পদত্যাগে
বাধ্য করি।

“নিরপেক্ষ
নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের
জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। এটাই আমাদের সামনে লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “আপনারা
লক্ষ্য করেছেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার করে
বলেছেন যে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারপর তাদের অধীনে
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন যারা করেছে তাদের সকলকে নিয়ে সকলের মতামতের
ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করা হবে।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর)
চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের
সঞ্চালনায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির শাহজাহান ওমর, বাংলাদেশ
গণ-অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ
সাকি, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব
আহসান হাবিব লিংকন বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত
হোসেন সেলিম, জামায়াতে ইসলামী মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান
ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী
পরিষদের শেথ রফিকুল ইসলাম বাবুল, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল
হুদা, ন্যাপ ভাসানী আজহারুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন
ব্যাপারী, এনডিপির আবু তাহের, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডিএলের
সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী
দলের নুরুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ইফতারে
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমীন, মুজিবুর
রহমান, সেলিম মাস্টার অংশ নেন।