ক্যাটাগরি

লিনাক্স ল্যাপটপ ‘রেজারের’, তবে গেইমারদের জন্য নয়

রেজারের প্রথম ব্লেড ল্যাপটপ বাজারে এসেছিল এক দশক আগে। তাদের প্রতিটি ল্যাপটপেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে। এ অবস্থা আজও পুরোপুরি বদলায়নি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, রেজার ব্র্যান্ড লাইনআপেই গত বছরের ‘রেজার ব্লেড ১৫ অ্যাডভান্সড’-এর ‘সুপ-আপ’ সংস্করণে এখন, ‘উবুনটু (Ubuntu)’ অপারেটিং সিস্টেম বসাচ্ছে ‘ল্যাম্বডা (Lambda)’ নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এগুলোকে ‘মেশিন লার্নিং’ এবং ‘এআই’ গবেষকদের কাছে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

নতুন এ ল্যাপটপটির নাম ‘রেজার এক্স ল্যাম্বডা টেনসরবুক’। এটির দাম সাড়ে তিন হাজার ডলার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ মেশিনটি হুবহু মিলে যাচ্ছে গত বছরের ‘হাই-এন্ড’ সংস্করণের ল্যাপটপের সঙ্গে।

নতুন ল্যাপটপটিতে রয়েছে একাদশ প্রজন্মের ‘ইনটেল কোর আই৭’ সিপিইউ, ‘এনভিডিয়া আরটিএক্স ৩০৮০ ম্যাক্স-কিউ’ গ্রাফিক্স এবং ৬৪ গিগাবাইট র‍্যাম।

পাশাপাশি, এতে একটি ১৫.৬-ইঞ্চি ১৬৫ হার্টজ ১৪৪০ পিক্সেল পর্দা রয়েছে, যেটি ৮০ ওয়াট ক্ষমতার ব্যাটারিতে চলে। দুটি ল্যাপটপই অবিকল একই আকারের।

ল্যাপটপটিতে সমান গতির ‘ইনপুট/আউটপুট (I/O)’ সুবিধাসহ দুটি থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট, তিনটি ইউএসবি ৩.২ জেন ২ টাইপ-এ পোর্ট, একটি ইউএইচএস-৩ এসডি কার্ড রিডার রয়েছে। এতে ওয়াইফাই ৬ই ও ব্লুটুথ ৫.২ দুটি সুবিধাই রয়েছে।

নতুন টেনসরবুকটির রং রুপালি নয়, কালো। এর নিজস্ব ওয়ারেন্টিতে সর্বশেষ সংস্করণের ড্রাইভার এবং ‘পাইটর্চ (PyTorch)’, ‘টেনসরফ্লো (Tensorflow), ‘কুডা (CUDA)’ ও ‘কুডিনান (cuDNN)’ এর মতো মেশিন লার্নিং টুলস আগে থেকে ইনস্টল রয়েছে।

ল্যাপটপটির জন্য চার হাজার ৯৯ ডলার বা তার বেশি খরচ করলে ল্যাম্বডা’র নিজস্ব ‘প্রিমিয়াম সাপোর্ট টিম’ সুবিধা পাওয়া যাবে। এরইমধ্যে, হাজার হাজার গবেষণা দলকে হার্ডওয়্যার সরবরাহ এবং জিপিইউ, সার্ভার ও ডেস্কটপ ওয়ার্কস্টেশন বিক্রির কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমান ব্লেড লাইন-আপে দ্রুতগতির সিপিইউ, জিপিইউ এবং স্ক্রিন অফার করছে রেজার। বাজারে রেজার ল্যাপটপের দাম বিবেচনায় অফারটি মোটেও খারাপ নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ভার্জ।

ভার্জের বিশ্লেষণ বলছে, পাতলা চেহারার রেজারের মেশিন সব সময় চাহিদার তুঙ্গে থাকে এবং ব্লেড ল্যাপটপটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। যদিও এতে অন্যান্য রেজার ল্যাপটপের তুলনায় এক চতুর্থাংশ মেমরি এবং কম শক্তিসম্পন্ন ‘আরটিএক্স ৩০৬০ জিপিইউ’ রয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কিছু পরিষ্কার করেনি ল্যাম্বডা’র সাধারণ প্রশ্নোত্তর বিভাগ।

ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, ল্যাম্বডা নিশ্চিতভাবেই সম্ভাব্য ম্যাকবুক প্রো ক্রেতাদের লক্ষ্য করে এগোচ্ছে। শুধু রুপালি রং নয়, অ্যাপলের ১৬ ইঞ্চি ‘ম্যাকবুক প্রো’র ‘এম১ ম্যাক্স’-এর তুলনায় টেনসরফ্লো’র হার্ডওয়্যার তুলনা করলে, এটি চারগুণ দ্রুত কাজ করে।

বিগত বছরগুলোতে তুলনামূলক ভালো লিনাক্স সুবিধা আনার ইঙ্গিত দিচ্ছিল রেজার। তবে জনপ্রিয় লিনাক্স কম্পিউটিং সাইট ফরোনিক্স ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে লিখেছিল, সেই পরিকল্পনা সম্ভবত ভেস্তে গেছে।

‘স্টিম ডেক’-এর চাপের কারণে সম্প্রতি লিনাক্স গেইমিংয়ের চাহিদা নতুন করে শুরু হয়েছে। ফলে, নিজস্ব লিনাক্স কোর প্রোডাক্টের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে রেজারকে।