ক্যাটাগরি

এদেরসন স্থির, আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলি: আলিসন

২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন এদেরসন। এক বছর পর লিভারপুলে পাড়ি জমান তার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ আলিসন। এরপর থেকে নিজ নিজ ক্লাবে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তারা। জাতীয় দলে এক নম্বর গোলরক্ষক হওয়া নিয়েও দুজনের মধ্যে চলছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে আলিসন এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৫৪টি। এদেরসন ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ১৮ বার।

প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলরক্ষকদের দুজন আলিসন ও এদেরসন চলতি মৌসুমে লিগে জাল অক্ষত রেখেছেন ১৭ বার করে।

গোলের লক্ষ্যে নেওয়া শটের ৭৫.৬ শতাংশ ঠেকিয়েছেন আলিসন, গোল প্রতিরোধ করেছেন গড়ে ১.৭টি। এদেরসন ঠেকিয়েছেন ৭১ শতাংশ লক্ষ্যে থাকা শট। আর প্রতিরোধ করেছেন গড়ে ১.৮টি গোল।

পাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুজনের অবস্থান কাছাকাছি। লিগে ৮৮.৪ শতাংশ নির্ভুল পাস দিয়ে সবার ওপরে আছেন এদেরসন। আলিসনের ৮৪.৮ শতাংশ পাস ছিল নির্ভুল।

বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে সিটি ও লিভারপুল। দেখা যাবে আলিসন ও এদেরসনের আরেকটি দ্বৈরথ।

ম্যাচটিকে সামনে রেখে লিভারপুলের ওয়েবসাইটে এক আলাপচারিতায় আলিসন স্তুতি গেয়েছেন এদেরসনের। তার মতে, মাঠে আবেগ নিয়ন্ত্রণে তার চেয়ে এগিয়ে সিটি গোলরক্ষক।

“আমি মনে করি আমাদের খেলার পদ্ধতি একই। আমরা এমন খেলোয়াড় যারা দলের সঙ্গে খেলা গড়ে তুলতে পছন্দ করি। এছাড়া আমরা দুজনই এমন দলে খেলি যারা পেছন থেকে তাদের খেলা গড়ে তোলে। যা আমাদের সাহায্য করে।”

“আমি মনে করি তাকে (এদেরসন) আমার চেয়ে বেশি শান্ত দেখায়, আমি মাঝমধ্যে রেগে যাই বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমাদের নিজ নিজ দক্ষতা আছে, আমাদের নিজস্বতা আছে, কিন্তু আমরা সত্যিই ভালো করছি এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছি।”

আলিসনের চোখে এদেরসন বর্তমান সময়ের সেরা চার গোলরক্ষকের একজন।

“এদেরসন একজন দুর্দান্ত গোলরক্ষক, একই সঙ্গে মানুষ হিসেবেও দারুণ। জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সুবাদে আমাদের সম্পর্ক ভালো। দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করছি আমরা। দলের (সিটি) হয়ে তার বড় বড় অর্জন রয়েছে। সে যে স্তরে খেলছে তাও উঁচুমাপের।”

“সে বিশ্বের শীর্ষ গোলরক্ষকদের মধ্যে একজন- আমার মতে সম্ভবত শীর্ষ তিন, চারের একজন। বল পায়ে সবার সেরা যদি নাও হয়, সেরাদের একজন অবশ‍্যই।”