ক্যাটাগরি

জলোৎসবে শেষ হল বৈসাবি

শনিবার সকালে রাঙামাটিতে কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় সাংগ্রাই জলোৎসব শুরুর পর মারমা তরুণ তরুণীরা দলবেঁধে জমায়েত হয়। নাচে গানে মাতোয়ারা হয়ে একে অপারকে জল ছুড়ে উল্লাসে মেতে ওঠে তারা।

পাহাড়ে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব হয় স্থানভেদে পাঁচদিন পর্যন্ত, যা শুরু হয়েছে গত ১২ এপ্রিল ‘ফুলবিজুর’ মধ্য দিয়ে।

পাহাড়ে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব বৈসাবির শেষদিন শনিবার রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় সাংগ্রাই জলোৎসবে মারমা তরুণ-তরুণীরা।

চাকমা সম্প্রদায় এ উৎসবকে বলে ‘বিজু’, ত্রিপুরারা বলে ‘বৈসু’। আর মারমারা বলে সাংগ্রাই। বৈসু, সাংগ্রাই ও বিজু মিলে সংক্ষেপে এই উৎসবটির নাম হয়েছে ‘বৈসাবি’।

সাংগ্রাইয়ের শেষ দিনে নাচ গান ছাড়াও নানা রকম আয়োজন ছিল।  এতে বৈচিত্র্যময় বর্ণিল পোষাকে অংশ নেয় ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। তাদের আনন্দে শামিল হন পর্যটকরাও।

মারমা সংষ্কৃতিক সংস্থা (মাসস)-এর উদ্যোগে প্রতিবছর এই আয়োজন করা হলেও গেল দুই বছর মহামারীর কারণে বন্ধ ছিল। তাই দুই বছরের বেদনা-বিষাদ কাটিয়ে এবারের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে পার্বত্য জনপদে।

সাংগ্রাই জলোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।

তিনি বলেন, গত ১২ তারিখ ফুলবিজুর মধ্য দিয়ে যে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ সাংগ্রাই জলোৎসব এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তার। এটির এই অঞ্চলের সবচে বড় সামাজিক উৎসব। ক্ষুদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য সরকারের অনেক কিছু করার আছে। তারই অংশ হিসেবে সরকারি অর্থায়নে নানান কর্মসূচি বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হচ্ছে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, “আমরা গত দুইবছর করোনার কারণে উৎসব করতে পারিনি। এই বছর কোভিড সহনশীল মাত্রায় চলে আসায় আমাদের উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকশিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”