আইপিএলে শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ। এর ২৮ রানই এসেছে তার শেষ ওভার থেকে।
১৮তম ওভারে শেষবার আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ। ২০ বলে ২৪ রান করে তখন স্ট্রাইকে দিনেশ কার্তিক।
প্রথম বলে শাফল করে লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে কিপার ও শর্ট থার্ড ম্যানের মাঝ দিয়ে হয় বাউন্ডারি। পরের বলে উদ্ভাবনী শটে শর্ট থার্ড ম্যানের মাথার ওপর দিয়ে পাঠান সীমানার বাইরে, চার। চমৎকার কাভার ড্রাইভে তৃতীয় বলে কার্তিক মারেন আরেকটি বাউন্ডারি।
প্রথম তিন বলে তিনটি চার হজম করে এলোমেলো হয়ে যাওয়া মুস্তাফিজ পরের দুই বলে লং অফ দিয়ে হজম করেন দুই ছক্কা। ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারিতে কার্তিক ফিফটি স্পর্শ করেন, ২৬ বলেই।
ম্যাচের শুরুটা মুস্তাফিজের জন্য ছিল দারুণ। প্রথম ওভারে ফাফ দু প্লেসিকে ডট খেলান পাঁচ বল। একটি ওয়াইড ও একটি বাউন্ডারিতে আসে ৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে হজম করেন দুটি চার, ওভার থেকে আসে ১০ রান।
ষোড়শ ওভারে আক্রমণে ফিরে মুস্তাফিজ দেন কেবল পাঁচ রান। পরের ওভারে এমন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে, তা কে জানতো।
শেষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বেঙ্গালোর। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে পথ দেখান কার্তিক। পাঁচটি করে ছক্কা ও চারে ৩৪ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। তার সঙ্গে ৫২ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শাহবাজ আহমেদের অবদান ২১ বলে ৩২। এর আগে ৩৪ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল।
মুস্তাফিজের বিবর্ণ দিনে হেরে গেছে তার দলও, ১৬ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে দিল্লি করতে পারে ১৭৩ রান। ডেভিড ওয়ার্নার সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ৩৮ বলে।