বিবিসি জানায়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতি ইউক্রেইন যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ‘শত্রুতাপূর্ণ’ অবস্থানের পাল্টা জবাব দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে লন্ডন লামাগহীনভাবে তথ্য এবং রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে যাতে আমাদের দেশকে দমন করতে পারে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে গলাটিপে ধরতে পারে। তাদের এসব সিদ্ধান্তের জন্য তারাই দায়ী।
‘‘মোটকথা, ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেইনের চারপাশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে, কিয়েভ সরকারকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে উসকে দিচ্ছে এবং নেটো যেন তাদের মত একই কাজ করে তা সমন্বয় করার চেষ্টা করছে।”
গতমাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপরও রাশিয়া একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হলেন:
#প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
#পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
#প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস
#উপ প্রধানমন্ত্রী, লর্ড চ্যান্সেলর এবং সেক্রেটারি অব স্টেট ফর জাস্টিস ডমিনিক রাব
#পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস
#স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল
#চ্যান্সেলর ঋষি শৌনক
#উদ্যোক্তা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশলমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং
#ডিজিটালাইজেশন, কালচার, মিডিয়া এবং স্পর্টসমন্ত্রী নাডিন ডরিস
#সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হ্যাপি
#স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টুর্জেন
#ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান
#কনজারভেটিভ এমপি এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
এদিকে, এ সপ্তাহের শুরুতেই যু্ক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য নতুন করে রাশিয়ার উপর আরো কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাজা দিতে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এবং পুতিন সরকারের কাছ থেকে সুবিধাভোগীদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।