গত ৫ এপ্রিল মিশিগানের মোটর সিটি হিসেবে খ্যাত ডেট্রয়েটের গার্ডেন থিয়েটারে এসএই-র প্রেসিডেন্ট শ্রী শ্রীনাথ তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মানান তুলে দেওয়ার আগে শ্রীনাথ বলেন, “কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্টে আরো উৎকর্ষ সাধনে সুবীর চৌধুরী তার অসাধারণ মেধার খাটিয়ে সারাবিশ্বে বড় বড় কলকারখানায় নিজের অবস্থানকে সংহত করেছেন।”
“তার পরামর্শ পেয়ে জরাজীর্ণ অনেক কর্পোরেশন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের উদ্যমী যুব সমাজের মধ্যে তার স্টেম প্রচারের জন্য অসামান্য কাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈশ্বিক জনহিতকর কাজের কথাও এখন কর্পোরেট জগতে উচ্চারিত হচ্ছে।”
শ্রীনাথ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সুবীর চৌধুরীর তার সিক্স সিগমা (প্রায় ৯৯ ভাগ ত্রুটিমুক্ত যন্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপনা) এবং সিক্স সিগমার জন্য ডিজাইন প্রক্রিয়ার উন্নতিতে অবদান এখন অনস্বীকার্য।
এসএই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থা যেটি সারাবিশ্বে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় প্রকৌশলীদের পেশাদারি মান উন্নয়নে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিকভাবে ব্যক্তি, সংস্থা, দল বা সত্তাকে সম্মাননা জানাতে ‘সাইগেল হিউম্যানিটারিয়েন অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
সুবীর চৌধুরীর মালিকানাধীন এএসআই কন্সাল্টিং গ্রুপ অপারেশনারল এক্সিলেন্স, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সাল্টিং ও প্রশিক্ষণের মতো কৌশলগত উদ্যোগে বিশ্বব্যাপি শীর্ষ সংস্থাগুলোর একটি।
সুবীর চৌধুরী গত এক দশকে তার ক্লায়েন্টদের জরাজীর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধন এবং বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পথ দেখিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ‘থিঙ্কারস-ফিফটি’র মতে, বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যবস্থাপনা চিন্তাবিদদের একজন হিসেবে ইতিমধ্যেই সুবীর চৌধুরী নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
ভারতের খড়গপুরে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) স্থাপন করেছে ‘সুবীর চৌধুরী স্কুল অব কোয়ালিটি অ্যান্ড রিলায়েবিলিটি’।
এটি হচ্ছে সারাবিশ্বে প্রথম একটি শিক্ষালয় যেখানে গবেষণার গুণগত মান ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাঙালিদের জীবন ব্যবস্থা এবং বাঙালির উত্থানের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ক্যাম্পাসে স্থাপিত হয়েছে ‘সুবীর অ্যান্ড মালিনি চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ সেন্টার’।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এটি প্রথম একটি প্রতিষ্ঠান।
‘দ্য পাওয়ার অব সিক্স সিগমা’, ‘দ্য আইসিক্রিম ম্যাকার’, ‘দ্য ডিফারেন্স’ সহ ১৫টি বই লিখেছেন সুবীর চৌধুরী। এর সবকয়টি ভালো বিক্রি হয়েছে।
সুবীর চৌধুরী বিশ্বব্যাপী সমাদৃৃত ১০টি পেশাজীবী সংগঠনের অনারারি সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ‘আউস্ট্যান্ডিং আমেরিকান বাই চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’, সোসাইটি অব ম্যানফ্যাক্চারিং ইঞ্জিনিয়ারর্স’ এর ‘গোল্ড মেডেল’, যুক্তরাজ্যের আইটি কর্তৃক ‘মেনস্ফোর্থ ম্যানুফ্যাক্চারিং গোল্ড মেডেল’সহ ডজনখানেক সম্মাননা পেয়েছেন এ বাংলাদেশি-আমেরিকান।
সম্প্রতি সুবীর চৌধুরীর সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে থেকে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |