ক্যাটাগরি

লকডাউনে চীন, বিপর্যয় শঙ্কা অ্যাপল পণ্য সরবরাহে

কোভিড-১৯ ঠেকানোর প্রক্রিয়ায়
জ্যাম লেগেছে চীনের সড়কে, বন্দরে। হাজার হাজার শ্রমিক আটকে আছেন, খোলার প্রতীক্ষায়
অসংখ্য কারখানা। আর এ অবস্থার ঢেউ বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় এসে পড়ছে বলে প্রতিবেদনে
লিখেছে রয়টার্স।

অ্যাপল পণ্যের উৎপাদক
পেগাট্রন গত সপ্তাহে বলেছে, শাংহাই আর কুনশানের কারখানা তারা বন্ধ করে দেবে। এগুলোয়
আইফোন ১৩, আইফোন এসই সিরিজ এবং অন্যান্য পরিচিত মডেল তৈরি হয় বলে সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞরা
বলেন। অন্যদিকে, বিশ্বে প্রতি চারটি ম্যাকবুকের মধ্যে তিনটিই তৈরি হয় কোয়ান্টা কম্পিউটার
ইনকর্পোরেটেডে। উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এরাও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুটি
ঘটনাই সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা দিতে পারে।

তবে, শেষ পর্যন্ত এই ধাক্কার
ধরন আর আকার নির্ভর করবে কতোদিন কারখানা বন্ধ থাকে এবং এ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি বিষয়ের
ওপর।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপল
অবশ্য উৎপাদন শাংহাই থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিতে পারে, যেমন শেনজেনে, যেখানে এখন লকডাউন
নেই।

“পেগাট্রন থেকে সরিয়ে
উৎপাদন ফক্সকনে নিয়ে যেতে পারে অ্যাপল। কিন্তু আমরা ধারণা করছি সেটা সম্ভবত খুব বড়
কিছু একটা হবে না। কারণ, এর সঙ্গে লজিস্টিকস এবং কারখানার মেশিনপত্র সমন্বয়ের বিষয়
রয়েছে।” – বলেন ইশায়াহ রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক এডি হান।

হান বলছেন, পরিস্থিতি
যদি সবচেয়ে খারাপ হয়, লাকডাউন যদি দুই মাসে গিয়ে ঠেকে, আর অ্যাপল যদি অন্য কোথাও কাজ
না করাতে পারে– পেগাট্রন সম্ভবত ৬০ লাখ থেকে এক কোটি আইফোন উৎপাদনে পিছিয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে
অ্যাপল কোনো সাড়া দেয়নি।

হুয়াওয়ে এবং এক্সপেংয়ের
দুই প্রধান নির্বাহী সতর্ক করে দিয়েছেন, শাংহাইয়ের উৎপাদন ব্যবস্থা দ্রুত চালু করতে
না পরলে অপেক্ষা করছে বড় অর্থনৈতিক আঘাত।

এরই মধ্যে লকডাউনের তৃতীয়
সপ্তাহে পৌছেছে শাংহাই এবং এখনও শীগগীর উঠে যাওয়ার কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

ট্রেন্ডফোর্সের গবেষণা
ব্যবস্থাপক ফরেস্ট চেন বলছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লকডাউন উঠে গেলেও পুষিয়ে নেওয়ার
একটা সম্ভাবনা থাকবে।

তবে, “লকডাউন যদি দুই
মাসের বেশিতে গড়ায়, এখুনি বলে দেওয়া যায় যে ক্ষতি পোষানোর আর কোনো পথ থাকবে না। তখন
আর ক্রেতা পাওয়া যাবে না।” – তিনি বলেন।