ক্যাটাগরি

শততম ম্যাচে রাহুলের শতক, মুম্বাইয়ের টানা ষষ্ঠ হার

মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে ১৮ রানে জিতেছে লক্ষ্ণৌ। ১৯৯ রানের পুঁজি নিয়ে মুম্বাইকে ১৮১ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।

জয় যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মুম্বাই থেকে। আইপিএলের সর্বোচ্চ পাঁচটি শিরোপা জেতা দলের এটি টানা ষষ্ঠ হার। টানা ব‍্যর্থতায় পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে রোহিত শর্মার দল।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়ান রাহুল। ইনিংস শুরু করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক। এই ওপেনারের ৬০ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫ ছক্কা ও ৯ চারে।

এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুটিই হলো প্রতিযোগিতাটির সফলতম দল মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। প্রথমটি করেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। ইংলিশ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ঠিক ১০০ রানের ইনিংস।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: আইপিএল

ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চার মেরে শুরু হয় রাহুলের ছুটে চলা। এরপর দারুণ সব শট খেলে এগিয়ে যান তিনি।

ইংলিশ পেসার মিলসকে ওভারে দুই চারের সঙ্গে মারেন এক ছক্কা। মুরুগান অশ্বিন ও জয়দেব উনাদকাটকে ওড়ান একটি করে ছক্কায়। ৩৩ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন রাহুল।

ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। আবারও চড়া হন মিলসের ওপর। এই পেসারকে এবার ওভারে মারেন চারটি চার। পরে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে এক চারের সঙ্গে ওড়ান দুই ছক্কায়।

উনবিংশ ওভারে এসে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান রাহুল, ৫৬ বলে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যা তার পঞ্চম সেঞ্চুরি।

আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ১৩ বলে এক ছক্কা ও ৪ চারে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। তিনে নেমে মনিশ পান্ডে করেন ৬ চারে ৩৮ রান। তাতে মুম্বাইকে ২০০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আইপিএলের নতুন দুই দলের একটি লক্ষ্ণৌ।

পাহাড়সম রান তাড়ায় মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত হন ব্যর্থ। তেমন কিছু করতে পারেননি ইশান কিষান। ‘বেবি এবি’ নামে পরিচিত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস নিজের সামর্থ্যের কিছুটা ঝলক দেখিয়ে ফিরে যান ১৩ বলে এক ছক্কা ও ৬ চারে ৩১ রান করে।

ব্যাট হাতে ছন্দের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আভাস দেওয়া সূর্যকুমার যাদব ফেরেন ৩ চারে ৩৭ রান করে। ১৪ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান করেন কাইরন পোলার্ড।

লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার আভেশ খান।