ক্যাটাগরি

হাওরে ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী

এছাড়া আগামি বোরো মৌসুমে হাওরের ফসলহারা কৃষককে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়া চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “হাওরের কৃষক প্রকৃতির কাছে অসহায়। প্রতি বছর তাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের কষ্টের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব পড়ে। হাওর তলিয়ে গেলে দেশে চালের দাম বেড়ে যায়। এই সঙ্কট উত্তরণে বিনা আগাম জাতের ফসল উৎপাদনে গবেষণা করছে।

“কিভাবে ১৫-২০ দিন আগে ফসল উৎপাদন করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।”

বাঁধের কাজে আরও উন্নতি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাঁধের কাজ আশানুরুপ হয়না; গাফিলতি আছে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি অনিয়মের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হবে। বাঁধ নির্মাণকাজে আগামীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সমন্বিত কাজ না করলে বাঁধ সুরক্ষিত হবে না। ফলে ফসল হারানোর ঝুঁকি থেকে যাবে।”

ফসল রক্ষায় কৃষকরা নদী খননের কথাও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “নদী খনন করে পানি ধারনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আগামী বছর নভেম্বরে যাতে কাজ শুরু করে যথা সমযে কাজ শেষ করা যায় সে চেষ্টাও চলছে।

চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে হাওরে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং হার্ভেস্টর মেশিন দিয়ে বোরো ধান কাটেন মন্ত্রী। পরে হাসননগরে বিনা উদ্ভাবিত ধান কর্তন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা শাহরিয়ার ও জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।