শনিবার ভোর থেকে হাটহাজারী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
শহিদুল জানান, হালদার দুই পাড়ে হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট
থেকে মোট ২১টি ঘেরা জাল জব্দ করা হয়।
“ভোরে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট
পয়েন্ট থেকে অভিযান শুরু করা হয়। এরপর ছিপাতলী, ধলই ও ফরহাদাবাদ অংশে অভিযান চালানো
হয়। এ সময় একটি মাছ ধরার নৌকাও ধ্বংস করা হয়।”
মৌসুমের প্রথম বা দ্বিতীয়
ভারী বর্ষণে (এপ্রিলের শেষ বা মে’র শুরুতে) হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া পাহাড়ি ঢল
নামলে এবং অমাবস্যা বা পূর্ণিমার তিথি থাকলেও ডিম ছাড়ে মা মাছ।
সেসময় নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ
করে হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিম ছাড়তে মা মাছের আনাগোনা বাড়তে
শুরু করলে চোরা শিকারীদের উৎপাতও বাড়ে। টানা অভিযানেও থামছে না শিকারীদের তৎপরতা।
চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী
ও ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালদাকে ‘বঙ্গবন্ধু
মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
হালদায় আসন্ন প্রজনন মৌসুমে
মা মাছের নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মো. শহিদুল।