রোববার বলী খেলা ও মেলার স্থান পরির্দশন করতে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির নেতারাও এসময় তার সাথে ছিলেন।
মেয়র রেজাউল বলেন, “জব্বারের বলী খেলা শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য।
এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদেরকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে।
“সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে সম্পূর্ণ আয়োজনের ব্যয়ভার চট্টগ্রাম
সিটি কর্পোরেশন গ্রহণ করবে। এ মেলায় সাথে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনীতির নিবিড়
সর্ম্পক রয়েছে।”
তিনি বলেন, “বৈশাখ মাস ঘিরে মেলায় নানাবিদ শৈল্পিক ও গৃহস্থালী পণ্য বিক্রি
করার জন্য গ্রামের হস্তশিল্পের কারিগররা ব্যস্ত থাকে। অন্য দিকে নানা খাবারের পসরা
তৈরিতেও তারা ব্যস্ত সময় কাটান।
“করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার
স্বার্থ বিবেচনায় এই মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে।”
ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে রাজনীতিবিদ, প্রশাসনসহ সবার সহয়োগিতা প্রত্যাশা করেন
মেয়র রেজাউল।
পরে তিনি লালদীঘি পাড়ে সিটি করপোরেশন লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় মেলা কমিটির
কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ,
সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলী খেলার রেফারী ও সাবেক
কাউন্সিলর আব্দুল মালেক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে নগরীর
বদর পাতির বাসিন্দা আবদুল জব্বার সওদাগর লালদিঘী মাঠে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
পারে তার নামেই এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলী খেলা হিসেবে পরিচিতি পায়। বলী
খেলাকে ঘিরে মেলাও বসে প্রতি বছর।

বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর বৈশাখের ১২ তারিখে বলী খেলা হয়। মহামারীর
কারণে গত দুই বছর খেলা বা মেলা কোনোটিই হয়নি।
এবার লালদীঘি মাঠে সংস্কার প্রকল্প চলমান থাকায় বলী খেলার জন্য মাঠ পাওয়া
যায়নি। সে কারণে বলী খেলা ও মেলা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল মেলা কমিটি। পরে মেয়র রেজাউল
করিম উদ্যোগ নিয়ে মেলা ও খেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা হবে। ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা
থেকে ৫টা পর্যন্ত বলী খেলা হবে লালদীঘি মাঠের কাছে জেলা পরিষদের চত্বরে।
সেখানে ২০ ফুট বাই ২০ ফুট মাপের অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে বলী খেলা চলবে বলে
জানান মেয়র রেজাউল।
লালদীঘি মাঠ উদ্বোধনের পর আগের মতই মাঠে বলী খেলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
জব্বারের বলী খেলা হবে, মেলাও হবে