রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ সিদ্বান্তের কথা জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে। যে কোনো বিভাগে ইন্ডেক্সধারী হলে, সে অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করাতে হবে না। মূলত কোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
“সেক্ষেত্রে যারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে, এমপিওর ক্ষেত্রে তারা সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও আটকে ছিল। সেই বাধাটা এখন কাটল। তারাও এখন এমপিওভুক্তিতে আসবে।”
গত জানুয়ারিতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করেই ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন।
কিন্তু ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর। ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়।
এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন। এবার সেই জটিলতা কাটতে যাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।