ক্যাটাগরি

ফরিদপুরে বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবি দলের ভেতর

এই দাবিতে রোববার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘তৃণমূল বিএনপি’র ব্যানারে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন; পরে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।

এ কর্মসূচিতে নবগঠিত দুই কমিটির এক-তৃতীয়াংশের বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

গত শুক্রবার ফরিদপুর জেলা ও মহানগর (সাংগঠনিক) বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সেখানে জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে মোদারেরছ আলী ইছা, সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন এবং মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গী এবং সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবগঠিত কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া বিভিন্ন নেতার ভূমিকার সমালোচনা করে অবিলম্বে কমিটি দুটি বাতিলের দাবি জানান। 

কমিটি দুটি বাতিল না করলে দুই কমিটির ‘৩৬ জনের মধ্যে ২৭ জন’ নেতা একসঙ্গে পদত্যাগ করবেন বলে সতর্ক করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদ্যগঠিত জেলা কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, সদস্য রশিদুল ইসলাম লিটন, শহীদ পারভেজ ও জাফর হোসেন বিশ্বাস; মহানগর কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, এমটি আক্তার টুটুল, সামসুল আরেফিন সাগর, আরিফুজ্জামান অপু, এমদাদুল হক এমদাদ এবং সদস্য কাইয়ুম মিয়া ও রাজন খান।

এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর প্রশাসনিকভাবে মহানগর না হলেও বিএনপি এই জেলা শহরকে সাংগঠনিকভাবে মহানগরের মর্যাদা দেয়।

এদিকে, এই কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন নবগঠিত জেলা আহ্বায়ক মোদারেরছ আলী ইছা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন কমিটি নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে তারা দলের অভ্যন্তরীণ সভায় তা উত্থাপন করতে পারত। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।