ক্যাটাগরি

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণ

এ দিন বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের নামে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ এবং
পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নাম ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ও পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ করার দাবি জানানো
হয়েছে।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল
মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ হয়। নগরীর দামপাড়া এলাকায় তৎকালীন
পুলিশ ব্যারাকের অস্ত্রাগার দখল করে নেন বিপ্লবীরা। সেখানেই অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার
গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরপর চারদিন স্বাধীন
ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি
সংঘর্ষ হয়। তিন ঘণ্টার সেই যুদ্ধে ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয় এবং ১২ জন বিপ্লবী শহীদ
হন।

নগরীর জে এম সেন হলে
বিপ্লবীদের আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা, বাংলাদেশ
যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখা, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে
যুব ইউনিয়নের প্রীতম দাশ বলেন, “চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রকৃত ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের
কাছে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,
কল্পনা দত্তসহ যুব বিদ্রোহের মহানায়কদের স্মরণে অবিলম্বে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের
নামকরণ করতে হবে।”

বিপ্লবী তারকেশ্বর
দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক বলেন, “হাজার বছরের
বাঙালি বলে গর্ববোধ করলেও ১০০ বছরের ইতিহাস আমরা রক্ষা করতে পারি নাই এবং ঐতিহাসিক
দিনগুলোও আমরা পালন করি না; যা আগামী প্রজন্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রতিদিন কোনো না
কোনো দিবস আমরা পালন করলেও বিপ্লবীদের কোনো দিবস আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করি না।

“অত্যন্ত দুঃখের বিষয়
গত ২৪ মার্চ যুব বিদ্রোগের ঐতিহাসিক স্থাপনাটি ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম’
ঘোষণা করা হয়। এই নামকরণের মধ্যে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ অথবা বিপ্লবীদের আত্মদানের বিষয়টি
প্রতিফলিত হয়নি বরং অনুক্ত রয়ে গেল।”