দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের পর থেকে মাঠের বাইরে আছেন শরিফুল। খেলা হয়নি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। প্রথম টেস্টের পর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তিনিও ফেরেন দেশে।
বিসিবির চিকিৎসকদের পরামর্শে তার খেলা হচ্ছে না চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে। ক্রিকেটীয় চোটের বাইরেও একটি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তরুণ পেসার। সেই সমস্যা কাটাতে আপাতত অস্ত্রোপচার করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শরিফুল জানালেন, দ্রুতই ফিরতে চান মাঠে।
“(দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষটা যেমন হয়েছে) সেটা নিয়ে হতাশা লাগেনি এক ক্ষেত্রে। কারণ, চোট বলে কয়ে আসে না। আমার ক্ষেত্রে বলছি, এর চেয়েও বড় কিছু হতে পারতো, কিন্তু ছোট চোট পেয়েছি, ঠিক হয়ে যাবে।”
“আমাকে বলা হয়েছে, ২৫-২৬ এপ্রিলের মধ্যে আমরা সিঙ্গাপুর যাব। তারপর সার্জারি হবে। আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠব। অপারেশনের পর দেখা যাবে, সেরে উঠতে কত সময় লাগে। চেষ্টা থাকবে জলদি সুস্থ হওয়ার।”
সেই ‘জলদি’ মানে কত দ্রুত, প্রশ্ন এখন সেখানেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের যে সময় খুব বেশি বাকি নেই! আগামী ৮ মে ঢাকায় আসবে লঙ্কানরা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে ১৫ মে থেকে, পরেরটি মিরপুরে শুরু হবে ২৩ মে।
অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সময় লাগবে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে। এতটা সময় মাঠের বাইরে থাকায় বোলিংয়ে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তেই পারে। তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক শরিফুল।
“অবশ্যই ছন্দ ফিরে পেতে একটু কষ্ট হবে। তবুও চেষ্টা থাকবে যেন জলদি ছন্দ ফিরিয়ে আনা যায়। সব বোলারই চাইবে এটা, আমিও চাইব।”
দ্রুত মাঠে ফেরার পাশাপাশি আরেকটি ব্যাপার নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছেন শরিফুল। নতুন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে সিরিজের বাইরে কাজ করতে চান কিছু দিন।
“অনেকদিন ওটিস গিবসনের (আগের বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজ করেছি। ডোনাল্ডের সঙ্গে তো এখনও কাজ বলতে মাত্র একটি সিরিজ খেলেছি। যখন খেলা থাকবে না, একটা সপ্তাহ যদি ক্যাম্প করতে পারি, তখন বোঝা যাবে যে কতটা নিতে পারি উনার কাছ থেকে।”
“ডোনাল্ড আমার সঙ্গে আলাদা কাজ করেছেন (দক্ষিণ আফ্রিকায়)। যদিও তেমন একটা সময় পাইনি। আশা করা যায়, যখন ৭-৮ দিন সময় পাব, আলাদাভাবে তখন উনার সঙ্গে কাজ করার। উনার কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার আছে।”