ক্যাটাগরি

পল্লবী থানায় পিটিয়ে হত্যা: দণ্ডিত পলাতক আসামি কারাগারে

ঢাকার মহানগর
দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সোমবার এ আদেশ দেন বলে
রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী তাপস পাল জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে তিনি বলেন, জনি হত্যা মামলার দণ্ডিত আসামি রোসেল গত মার্চে গ্রেপ্তার হওয়ার
পর থেকে মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন। সোমবার তাকে জনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো
হল এবং এর মধ্য দিয়ে তার সাজা কার্যকর করা শুরু হল।

জনি হত্যা মামলায়
২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাসেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। গত ৬ মার্চ লালবাগ
বেড়িবাঁধ এলাকায় সাড়ে ৭ লাখ টাকার হেরোইনসহ তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়ন।

নিহত জনির ভাই
মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক উদ্ধারের ঘটনায়
রাসেলকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আজ তাকে জনি হত্যা মামলায়
আদালতের মাধ্যমের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথি থেকে
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পল্লবীর ইরানি ক্যাম্পে জনির বন্ধু বিল্লালের বিয়ের
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে জনি ও তার ভাই রকিকে তুলে নেয় পুলিশ। তাদের থানায় নিয়ে বেদম
মারপিট করা হলে জনি মারা যান। ওই বছরের ৭ অগাস্ট হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা
করেন জনির ভাই রকি।

বিচার বিভাগীয়
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার
পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এরা হলেন- পল্লবী
থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল হাসান ও কামরুজ্জামান মিন্টু,
পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেল।

২০২০ সালের ৯
সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ মামলার রায় ঘোষণা
করেন। তাতে তিন পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন এবং দুই সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছরের
কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার বাদী রকি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দণ্ডিত হলেও রাসেল আগের মতই মাদক ব্যবসা চালিয়ে
যাচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে তার গতিবিধির খবর আমি পুলিশকে জানিয়েছি। চলতি মাসেই গোপনে দেশত্যাগের
চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল রাসেল। তখনই তাকে ধরা হল।”

পুরনো
খবর

পল্লবী থানায় পিটিয়ে হত্যার মামলায় তিন পুলিশের যাবজ্জীবন