ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের বিশেষ অভিযানে রোববার রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বাপ্পি হাসান (২৪), মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল (১৯), মো. সোহাগ হোসেন (২২), মো. বিপ্লব শেখ (২৫) এবং নুর মোহাম্মদ (২৮)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ‘ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নিম্নমানের’ পুরনো ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শংকর এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ই কমার্সের নামে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিল গ্রেপ্তার পাঁচজন।
“ফেইসবুকে পেইজ খুলে তারা ভালো মানের পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিত। দেশব্যাপী গ্রাহকদের অর্ডার নিয়ে তারা নিম্নমানের এবং ব্যবহারের অনুপযোগী ও নষ্ট পণ্য পাঠিয়ে প্রতারণা করত।”
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে রাজীব আল মাসুদ বলেন, এই কারবার চালানোর জন্য বাপ্পি ফেইসবুকে ১৭টি এবং আরিফ তিনটি পেইজ খুলেছেন। এসব পেইজ থেকেই তারা পণ্য বিক্রি করতেন। বাকিরা তাদের সহযোগিতা করতেন।
এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে শাহাজালাল ওরফে জালাল, মাজহারুল মণ্ডল, শরিফুল শেখ নামে আরও তিনজন জড়িত এবং পুলিশ তাদের খুঁজছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা রাজীব আল মাসুদ।
তিনি বলেন, “তারা একটি পেইজ কিছুদিন ব্যবহার করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করত। পরে আবার নতুন পেইজ খুলে প্রতারণা চালাত। এ কাজে তারা এস এ পরিবহনের বুকিং ম্যান ও কর্মীদেরও সহযোগিতা নিত।”
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।