গ্রেপ্তার মো. আরিফ উদ্দিনের (৩৬) বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার চরখিজিরপুর। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় থাকেন।
নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে দেওয়া এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের পরিদর্শক সঞ্জয় সিনহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আরিফের সঙ্গে ওই তরুণীর ‘চার বছরের’ প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তিনি বলেন, “কিন্তু ওই তরুণীকে না জানিয়ে সে অন্যত্র বিয়ে করেন। জানতে পেরে ওই তরুণী আরিফের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।”
পরে স্ত্রীর সঙ্গেও তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আরিফ পুনরায় ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু তরুণী তাতে সম্মতি দেয়নি”
পরিদর্শক সঞ্জয় জানান, অন্য একজনের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় আরিফ বিভিন্ন সময়ে ওই তরুণীর ‘অন্তরঙ্গ’ ও ‘ব্যক্তিগত’ ছবি স্বজন ও পরিচিতদের পাঠাতে শুরু করেন।
“সর্বশেষ একটি ফেইসবুক আইডি খুলেও বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর পোস্ট দেয়,”- বলেন পুলিশ পরিদর্শক।
এ ঘটনায় ওই তরুণী পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটেও একটি অভিযোগ জমা দেন।
তিনি বলেন, “এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আরিফের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনে মেয়েটির নামে খোলা ভুয়া ফেইসবুক আইডিও পাওয়া যায়।”
পরে আরিফের বিরুদ্ধে ওই তরুণী বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ঢাকার ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আরিফ কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন বলেও জানান পরিদর্শক সঞ্জয়।