সোমবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল
আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
ওইদিন মালেকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরও
একটি মামলার বিচার শুরুর বিষয়েও আদেশ দেবে আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোস্তফা জানান,
সোমবার আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম
তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি চান। দুদকের পক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের
শুনানি করা হয়।
শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের
বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১১ মে দিন ঠিক করেন।
এসময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে
হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা তার স্ত্রী নার্গিস বেগমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার এ দুই মামলায় মালেকের জামিন
আবেদন করা হলেও তা নাকচ করা হয়।
গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক ও
তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ দুটি মামলা করে
দুদক। এছাড়া ওই দিন মালেকের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়। এ মামলায়
দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছর সাজা খাটছেন এ গাড়িচালক।
এক মামলায় শুধু মালেককে আসামি
করা হয় এবং আরেকটিতে তার সঙ্গে তার স্ত্রীও আসামি ছিলেন।
মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি
এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া
৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অপর মামলায় নার্গিস বেগমের দুই
কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বৈধ উৎস
পাওয়া যায় এক কোটি এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা। বাকি এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০
টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র্যাব।
ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
অস্ত্র মামলায় বিচার শেষে ২০২১
সালের সেপ্টেম্বর মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে দুই
ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরই কারাগারে কাটাতে হবে।
এ গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের পর তার
অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
ওই সময় র্যাব কর্মকর্তারা
জানিয়েছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল
ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন
ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের।
এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে।
মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক
জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত
অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে
গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।