সামিয়া রহমান। ফাইল ছবি
সোমবার বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বিষয়টি
নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সপ্তাহখানেক
আগে উনি আরলি রিটায়ারমেন্টে যেতে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন।”
তার আবেদনটি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে
পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালেয়ের সিন্ডিকেট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান
অধ্যাপক মনসুর।
টিভি সংবাদ পাঠক হিসেবে পরিচিত সামিয়া রহমান ২০০০ সালে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে
তিনি সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
তবে তার বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১
সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে
সহকারী অধ্যাপক করা হয় তাকে।
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি: সামিয়া রহমানের পদাবনতি
ঢাবি শিক্ষক সামিয়া-মারজানের চৌর্যবৃত্তি ‘প্রমাণিত’
বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির বয়স ৬৫ বছর। সামিয়া রহমান ১৯৭৩ সালের ২৩ জুন
জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে ২০৩৮ সালে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
সামিয়া রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। এ বিষয়ে তার সঙ্গে
যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চার
মাসের অর্জিত ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান সামিয়া রহমান। গত ৩১ মার্চ তার ছুটির
মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মার্চ মাসের শুরুতে তিনি বিনা বেতনে আরও
এক বছরের ছুটির জন্য আবেদন করেন। তবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমোদন না
করার পর তিনি আগাম অবসরের আবেদন করেন।