ক্যাটাগরি

‘এমন প্রত্যাবর্তন কেবল রিয়ালের পক্ষেই সম্ভব’

চলতি মৌসুমে
বেশ কয়েকবার পিছিয়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল। গত এক মাসের একটু
বেশি সময়েই তারা এমনটা করে দেখিয়েছে তিনবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলো ও শেষ আটের
পর সবশেষ লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে দেখিয়েছে তার ঝলক।

ইউরোপ
সেরার মঞ্চে শেষ ষোলোয় পিএসজির বিপক্ষে এক পর্যায়ে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে
ছিল রিয়াল। এরপরই শেষ ৩০ মিনিটের সেই জাদুকরী অধ্যায়; দুর্দান্ত ফর্মে থাকা করিম বেনজেমার
১৭ মিনিটের হ্যাটট্রিকে বাজিমাত করে মাদ্রিদের দলটি।

এরপর চেলসির
বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ঘরের মাঠে খেই হারিয়ে রিয়াল পিছিয়ে পড়েছিল ৪-৩
গোলে। সেখান থেকে রদ্রিগো ও বেনজেমার গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনালে
জায়গা করে নেয় তারা।

এরপর রোববার
রাতের ঘুরে দাঁড়ানো। সেভিয়ার মাঠে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে
প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে প্রবলভাবে এবং এই ঘুরে দাঁড়ানোতেও মাঠে নেমেই পথ দেখান রদ্রিগো।

বদলি হিসেবে
নামা রদ্রিগো ও নাচো ফের্নান্দেসের সৌজন্যে দুই গোল শোধ করার পর ৯২তম মিনিটে বেনজেমার
নৈপুণ্যে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউরোপের সফলতম দলটি। চলতি মৌসুমে লিগে এটি ছিল সেভিয়ার
ঘরের মাঠে প্রথম হার।

এভাবে
একের পর এক হারের মুখ থেকে জয় পেয়ে নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে রদ্রিগোর বিশ্বাস বেড়ে গেছে
বহুগুণে। ২১ বছর বয়সী ফুটবলার মনে করেন, শুধু রিয়ালই পারে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে।

“আমাদের
সত্যিই এই তিনটি পয়েন্টের আলাদা মূল্য দেওয়া উচিত, কারণ এখানে (সেভিয়ার মাঠে) অন্য
কেউ জিততে পারেনি। আমরা তা করতে পেরেছি। এই তিন পয়েন্ট আমাদের লক্ষ্যের আরও কাছাকাছি
পৌঁছে দিয়েছে, সেটা হলো লা লিগা জয়।”

“শুধুমাত্র
রিয়াল মাদ্রিদই পারে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। এই দলের অংশ হতে পেরে এবং এই কামব্যাকগুলোতে
যুক্ত থাকতে পেরে আমি দারুণভাবে গর্বিত।”

সেভিয়ার
বিপক্ষে জয়ের পর ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান
সুসংহত করেছে রিয়াল।

সমান ম্যাচ
খেলে তিনে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৬০। দুইয়ে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্টও ৬০, তবে তারা ম্যাচ
খেলেছে দুটি কম।