ক্যাটাগরি

কোভিড-১৯: চীনের সাংহাইয়ে ৩ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায়
মার্চের শেষ দিক থেকে এই অর্থনৈতিক কেন্দ্রটিতে লকডাউন চলছে, তারপর থেকে এই প্রথম সেখানে
মহামারীতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেল।

এর আগ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণে
সাংহাইয়ে কারও মৃত্যু হয়নি, এমনটি জানিয়ে আসছিল চীন; তবে তাদের এ দাবি ক্রমশ প্রশ্নবিদ্ধ
হচ্ছিল।

সাংহাইয়ে তিন রোগীর মৃত্যু ২০২০
সালের মার্চের পর থেকে পুরো চীনজুড়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।

সোমবার এক বিবৃতিতে সাংহাইয়ের
স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ‘বাঁচানোর সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও’ রোববার হাসপাতালে তিন
রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ৮৯ থেকে ৯১ বছরের মধ্যে এবং তাদের অন্যান্য শারীরিক
জটিলতা ছিল।

সাংহাইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
শহরটি ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দাদের মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ করোনাভাইরাসের পূর্ণ টিকা নিয়েছেন।
  

বিবিসি জানিয়েছে, শহরটি এখন গণপরীক্ষার
আরেকটি পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আর এর অর্থ শহরটিতে চলমান কঠোর লকডাউন চতুর্থ সপ্তাহেও
অব্যাহত থাকবে। তিন সপ্তাহ আগে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে
শহরটি কঠোর লকডাউনে আছে।

লকডাউনের কারণে শহরটির লাখ লাখ
বাসিন্দা তাদের বাড়িঘরে আটকা পড়ে আছেন। পরীক্ষায় কারও করোনাভাইরাস পজিটিভ আসলে তাকে
কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।

সম্প্রতি শহরটির অনেক বাসিন্দা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর এ লকডাউন ও খাদ্য সরবরাহের অপ্রতুলতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
কার্যত ঘরবন্দি থাকতে থাকতে তাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে,
রোববার শহরটিতে উপসর্গযুক্ত ২৪১৭ জন নতুন রোগী এবং ১৯ হাজার ৮৩১ উপসর্গবিহীন নতুন সংক্রমণ
শনাক্ত হয়েছে। শনিবারের চেয়ে শনাক্তের এ সংখ্যা কিছুটা কম।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান
শহরে প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছিল। তারপর সেখান থেকে রোগটি মহামারী
আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

উহানের পর সাংহাইয়েই চীনের সবচেয়ে
বড় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ মার্চ থেকে নগরীটির
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ২০ কোটিরও বেশি নিউক্লিয়িক এসিড টেস্ট সম্পন্ন করেছে।  

আরও খবর:

বাড়ি দখল করে কোয়ারেন্টিন সেন্টার, সাংহাইয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ