দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই
কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিকে এ মামলায় বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানকে দুই মাসের জামিন
দিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতও বহাল রেখেছে।
মিজান একটি মামলা থেকে বাঁচতে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার
এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে এই মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
এজন্য দুজনকে দণ্ড দিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় ঢাকার বিশেষ জজ
আদালত-৪। দুটি ধারায় এনামুল বাছিরের আট বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে বরখাস্ত ডিআইজি
মিজান ঘুষের জন্য তিন বছরের সাজা পেলেও অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস পান।
ঘুষ লেনদেন: ডিআইজি মিজানের ৩ বছর সাজা, দুদকের বাছিরের ৮ বছর
ওই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ এপ্রিল আপিল করে দুদক। পাশাপাশি
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সাজা বাড়ানোর আবেদন করা হয়।
এরপর দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গত ১০ এপ্রিল গ্রহণ করে ওইদিন এ
মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া রায়ের নথিও তলব করে হাই কোর্ট।
ডিআইজি মিজান ২০২০ সাল থেকে হাজতবাসে রয়েছেন বলে হাই কোর্টে আটকে না
গেলে অচিরেই তার মুক্তি মেলার কথা।
এদিকে এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল মিজানকে দুই মাসের জামিন দেয় হাই
কোর্ট। সে জামিনের স্থগিত চেয়ে সোমবার সকালে চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।
দুপুরে এ আবেদের শুনানি শেষে ‘নো
অর্ডার’ দেন চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম। এর ফলে
বরখাস্ত জিআইজি মিজানুর রহমানে জামিন বহাল রয়েছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ
আলম খান।