ঘরের
মাঠে রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। আবারও তারা এগিয়ে
গেছে ১৫ পয়েন্টে, বাকি
আর ছয় রাউন্ড।
গত
দুই রাউন্ডে গোল উৎসব করে ক্লেহমোঁকে ৬-১ ও লরিয়েঁকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল
প্যারিসের দলটি।
দ্বাদশ
মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় পিএসজি। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে মার্কো
ভেরাত্তির লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে প্রথম স্পর্শে চিপ শটে জালে পাঠান নেইমার।
এই
নিয়ে সবশেষ তিন ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান তারকার গোল হলো ৬টি। ক্লেহমোঁর বিপক্ষে
হ্যাটট্রিকের আগে লরিয়েঁর বিপক্ষে করেছিলেন দুটি।

অষ্টাদশ
মিনিটে দানিলো পেরেইরার থ্রু বল ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে বাইরে মারেন এমবাপে। যদিও
অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। একটু পর ডি-বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক
উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৩১তম
মিনিটে সমতায় ফেরে মার্সেই। কর্নার সামনে ঝাঁপিয়ে পাঞ্চ করার চেষ্টায় ক্লিয়ার করতে
পারেননি জানলুইজি দোন্নারুম্মা। জটলার মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি পিএসজির
ডিফেন্ডাররাও। কাছ থেকে জালে পাঠান ক্রোয়াট ডিফেন্ডার কালেতা কার।
৩৩তম
মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেইমারের বুলেট গতির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে
রক্ষা করেন মার্সেই গোলরক্ষক। একটু পর ডি-বক্সে নেইমারের পাসে এমবাপের ভলি লক্ষ্যে
থাকেনি।
৪১তম
মিনিটে মেসি জালে বল পাঠালেও গোল মেলেনি। তাকে পাস দেওয়া নুনো মেন্দেস আক্রমণের
শুরুতে অফসাইডে ছিলেন।
প্রথমার্ধের
শেষ দিকে নেইমারের শট ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরাল
আবেদন করেন পিএসজি খেলোয়াড়রা, কিন্তু তখন রেফারির সাড়া মেলেনি। পরক্ষণে মেসি আবার জালে বল পাঠালেও
অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
এরপর
ভিএআরের সাহায্যে আগের ঘটনার জন্য পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে
দলকে আবার এগিয়ে নেন এমবাপে।
চলতি
লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা এই বিশ্বকাপ জয়ী তারকার ২৯ ম্যাচে গোল হলো ২১টি।

এমবাপেও
এই নিয়ে সবশেষ তিন ম্যাচে জালের দেখা পেলেন,
৬ বার। নেইমারের মতোই ক্লেহমোঁর বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের আগে লরিয়েঁর
বিপক্ষে করেছিলেন দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধে
পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউ। ৭৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস ধরে
বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। তবে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ট্যাকলে শট নিতে পারেননি তিনি।
একটু
পর মেসির আরেকটি পাসে এমবাপে জালে বল পাঠালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
নির্ধারিত
সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে দিমিত্রি পায়েতের ফ্রি-কিকে কাছ থেকে জালে বল পাঠিয়ে
উদযাপন শুরু করে দেন মার্সেইয়ের উইলিয়াম সালিবা। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের
বাঁশি বাজান রেফারি।
৩২
ম্যাচে ২৩ জয় ও ৫ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৭৪। সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে
মার্সেই। তিন নম্বরে রেনের পয়েন্ট ৫৬।
নিজেদের
পরের ম্যাচে আগামী বুধবার অঁজির বিপক্ষে খেলবে পিএসজি। ওই ম্যাচে জিতলেই দশম লিগ
শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে তাদের।
একই
দিন নঁতের মুখোমুখি হবে মার্সেই।