ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সোমবার
হেলেনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ হয়।
আদালতের কর্মচারী আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ গঠনের সময় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ
অন্য চার আসামি নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।
তাদের পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পাঁচটি আবেদন হলেও তা নাকচ করে
বিচারক আগামী ২৫ মে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ ঠিক করে দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা
খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ
ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার এবং
জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন। নিজেকে তিনি আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের
সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন।
গত বছরের ২৯ জুলাই ঢাকার গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে গ্রেপ্তার
করে র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, হরিণের চামড়া, ওয়াকিটকি ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের
কথাও জানানো হয়েছিল।
সেফুদার সঙ্গে ‘লেনদেন’ ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের: র্যাব
বৈধ কাগজপত্র নেই জয়যাত্রা টিভির: র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট
বাড়িতে অভিযানের পর হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক

হেলেনা জাহাঙ্গীর। ছবি: ফেইসবুক
তখন হেলেনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে গুলশান
ও পল্লবী থানায় পাঁচটি মামলা হয়।
এর মধ্যেই গত বছরের ২ অগাস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের
বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটি করেন জয়যাত্রা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে
নিয়োগ দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো
বেতন পাননি। উল্টো প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল।
মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে
হেলেনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর
ইসলাম।
এদিকে হেলেনা সব মামলায় জামিনের পর গত বছরের নভেম্বরে কারাগার থেকে ছাড়া
পান।