সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘শাইখূল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রাহ. ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ১০০ বছর পরে হলেও হবে বলে আশা করেন শফীর অনুসারী ফয়জুল্লাহ।
তিনি বলেন, “শাইখূল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই হত্যা মামলার বিচার অবশ্যই হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি ৪২ বছর পর হতে পারে, শাইখূল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রয়োজনে ১০০ বছর পর হবে।
“উনার মিশনকে কেউ ব্যর্থ বা পরাজিত করতে পারবে না। উনার লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।”
তিনি বলেন, “সর্বশেষ তিনি (আহমদ শফী) কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার করার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। তার টিমও কাজ শুরু করে। তাদের কেন অমুসলিম ঘোষণা অপরিহার্য, তিনি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন। বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলছিলেন।
“পরবর্তীতে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এমন পর্যায়ে ছিল। কিন্তু দুভার্গ্য আহমদ শফীর বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসী ও জুলুম চালানো হয়েছিল তার পেছনে কাদিয়ানী-বেঈমান চক্র ও নাস্তিক-মুরতাদরা জড়িত ছিল।“
তিনি নিজে এর ‘সাক্ষী’ দাবি করে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিবের অভিযোগ, “এসব জেনেই কাদিয়ানীরা কৌশলে অর্থের বিনিময়ে বেঈমান গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়ে শাইখূল ইসলামকে হত্যা করিয়েছে।”
শফীর ‘কৌশলের’ সামনে সবাই পরাজিত হয়েছিল দাবি করে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব বলেন, “শাইখূল ইসলাম শুধু বড় কথা বলতেন না, তিনি বড় কাজও করতেন। কওমী মাদ্রাসার সনদের আন্দোলন, নারী নীতির কোরান সুন্না বিরোধী ধারা উপ-ধারা বাতিলের আন্দোলন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু পরিবর্তন এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণ আন্দোলন হয়েছে।
“প্রতিটি আন্দোলন উনার কৌশলের কারণে চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করে। কওমী মাদ্রাসার সনদ তিনি যেভাবে লিখে দিয়েছেন দাড়ি-কমাসহ সেভাবে আইন পাস হয়েছে।”
শাহ আহমদ শফীর চিন্তা ও কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বলে অনুষ্ঠানে জানান হেফাজতে ইসলামে শফীর নেতৃত্বাধীন সাবেক কমিটির নেতা মাওলানা মুঈনুদ্দিন রুহী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহমদ শফীর পুত্র আনাস মাদানী।
আরও পড়ুন
শফীর মৃত্যু: তদন্তে বাবুনগরীসহ ৪৩ জনের দায় পেল পিবিআই
আহমদ শফীর মৃত্যু ও মাদ্রাসা নিয়ে বাবুনগরীদের বিবৃতি
আহমদ শফীকে ‘হত্যার’ অভিযোগে মামুনুলসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা