সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সালাহ তার সবশেষ তিন গোল করেন পেনাল্টি
থেকে। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের বিপক্ষে গত ১২ মার্চ সবশেষ জালের দেখা পান তিনি।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি লিডসের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল।
পেনাল্টি বাদে সালাহ সবশেষ জালের দেখা পেয়েছিলেন গত ১৯
ফেব্রুয়ারি, নরিচ সিটির বিপক্ষে। সেই থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে ৪১টি
‘নন পেনাল্টি শট’ নিয়ে গোল পাননি সালাহ।
এই সময়ে জাতীয় দলেও ব্যর্থ তিনি। কাতার বিশ্বকাপের টিকেট
কাটতে ব্যর্থ হয় তার দেশ মিশর। টাইব্রেকারে তাদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত
করে সেনেগাল। বছরের শুরুতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালেও একই দলের বিপক্ষে একইভাবে
হেরে গিয়েছিল মিশর।
প্রিমিয়ার লিগে মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি
হবে লিভারপুল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গত অক্টোবরে দুই দলের প্রথম দেখায় হ্যাটট্রিক করেছিলেন
সালাহ। ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল।
তাছাড়া, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইউনাইটেডের বিপক্ষে সবশেষ
পাঁচ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন সালাহ। দলটির বিপক্ষে লিভারপুলের হয়ে এর চেয়ে বেশি গোল আছে
কেবল স্টিভেন জেরার্ডের। তাই ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’ পেয়ে সালাহও কি ফিরবেন গোলের ধারায়,
চলছে আলোচনা।
পরিসংখ্যান যাই বলুক, এমনিতে সালাহর খেলায় খুশি ক্লপ। গত
শনিবার এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দলের ৩-২ গোলের জয়ে গোলের
উদ্দেশ্যে সালাহ তিন শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেন একটি।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রিয় শিষ্যর গোল খরা নিয়ে ক্লপ
শোনালেন আশার কথা।
“সালাহ যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই স্বাভাবিক।
গত কয়েক মাসে সে যতটা শারীরিক ধকলের মধ্যে দিয়ে গেছে, তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। তাই
এটা খুবই স্বাভাবিক।”
“সিটির বিপক্ষে তার খেলা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সে ভালো
খেলেছে, খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। তার গোল করাটা কেবলই সময়ের ব্যাপার।”
এই সময়ে সালাহকে কিছুটা দুর্ভাগাও মনে হয়েছে ক্লপের।
“এই সময়ে সে বেশ কবার (গোলের) কাছাকাছি এসেছে। কাঙ্ক্ষিত
মুহূর্ত নিশ্চয়ই আসবে। গত সপ্তাহে সে যেমন ফর্ম দেখিয়েছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি।”