আইপিএলে রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে পায়নি গুজরাট টাইটান্স। তার বদলে নেতৃত্ব দেন রশিদ। ২৩ বছর ২০৯ দিন বয়সে অধিনায়কত্ব করলেন তিনি। আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তার চেয়ে কম বয়সে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা আছে কেবল স্টিভেন স্মিথের।
নেতৃত্বের ম্যাচে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিনি উইকেট পাননি। চেন্নাই ২০ ওভারে তোলে ১৬৯ রান। সেই রান তাড়ায় গুজরাট ৩ উইকেট হারায় ১৬ রানেই।
ডেভিড মিলারের আগ্রাসী ফিফটিতে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তারা। তবে আরেক প্রান্তে উইকেট পড়তেই থাকে। মিলার টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তে শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান রাহুল তেওয়াতিয়া যখন আউট হলেন, দলের রান তখন ৫ উইকেটে ৮৭।
শেষ ৭ ওভারে ৮৩ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাটের। মিলার ও রশিদের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেটা সম্ভব করে ছাড়ে তারা।
জুটির শুরুতে মিলার চেষ্টা করেন রানের গতি ধরে রাখতে, রশিদ স্রেফ সঙ্গ দিয়ে টেনে নিয়ে যান খেলা। শেষ ৩ ওভারে যখন লাগে ৪৮ রান, রশিদ তখন খেলছেন ১২ বলে ৮ রানে। এরপরই মোড় বদল। ‘ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট’ ক্রিস জর্ডানের এক ওভারে তিন ছক্কা ও ১ চারে দলকে জয়ের দিকে এগিয় নেন রশিদ।
দুজনের জুটিতে আসে ৩৭ বলে ৭০ রান। তাতে রশিদের অবদান ২১ বলে ৪০, মিলারের ১৬ বলে ৩০।
শেষের আগের ওভারে রশিদ ফিরে গেলেও মিলার ফেরেন কাজ শেষ করে। শেষ ওভারে জর্ডানকেই ছক্কা-চার মেরে দলকে জিতিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৯৪ রানে।
ম্যাচ সেরা হয়ে মিলার বলেন, রশিদ খানের ব্যাটিংই খেলার মোড় বদলে দিয়েছে। আর নেতৃত্বের অভিষেকে দারুণ এক জয়ের পর রশিদ বলেন, নিজেকে তিনি অলরাউন্ডার হিসেবেই দেখেন।
“দলকে নেতৃত্ব দেওয়া স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো কিছু। তবে জয়টাই সবচেয়ে স্মরণীয়। ব্যাট হাতে এভাবে অবদান রাখতে পারাও স্পেশাল।”
“উইকেটে যাওয়ার পর আমার চাওয়া ছিল ম্যাচ যতটা সম্ভব টেনে নিয়ে যাওয়া। ৭ ওভারে ৯০ রান করতে পারার বিশ্বাস আমাদের ছিল। ডেভিডকে (মিলার) বলেছিলাম, নিজের জোনে পেলে মেরে দিতে। আমি নিজেকে অলরাউন্ডারই বিবেচনা করি, সেই দায়িত্ব তো নিতেই হবে।”
যে ওভারে জর্ডানের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিলেন তিনি, সেই ওভারকে আগে থেকেই ‘টার্গেট’ করেছিলেন বলে জানান রশিদ।
“ নিজের ব্যাটিং স্কিলে আমার আস্থা আছে। ডেভিডের সঙ্গে কথাও বলছিলাম এটা নিয়ে। (জর্ডানের) ওই ওভারে কিছু একটা করতেই হতো, এক পাশের বাউন্ডারি ছিল ছোট। আমি ডেভিডকে বলেছিলাম, এই ওভারে যদি ২০ নিতে পারি, তাহলে শেষের দুই ওভারে ৩০ রান লাগবে। আমরা পারব। সৌভাগ্যবশত, আমি যেখানে চাচ্ছিলাম, সে (জর্ডান) সেখানেই বল করেছে।”
এই জয়ের পর ৬ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আইপিএলের নতুন দল গুজরাট।