মঙ্গলবার
দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
বিএনপি জনগণের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ বিপরীত কথা বলে।
তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করে মানুষের অধিকার হরণ করে দেশে একদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
করতে চায়।
মির্জা
ফখরুল নিজেদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যারা গণতন্ত্র হত্যা
করে, মানুষ গুম করে সেই দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। যারা দেশকে ধ্বংস করতে
চাচ্ছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তারাই আমাদের শত্রু।”
দেশের
স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা
ফখরুল আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে যারা অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে
মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি।
এ অপশক্তি মানুষের অধিকার হরণ করেছে, দেশকে দুর্নীতির আখরায় পরিণত করেছে।
“বর্তমানে
খুব খারাপ সময় যাচ্ছে, দুঃসময় যাচ্ছে,” মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “গণতন্ত্র
বিরোধী একটা সরকার আমাদের উপর চেপে বসেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার
মামলা দিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশেনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক জিয়াকেও নির্বাসনে রেখেছে এ
সরকার।”
দেশে
বর্তমানে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “কোভিড টিকা ক্রয়ে
২৩ হাজার কোটি টাকার লুটপাট করা হয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গী-চৌরাস্তা সড়ক নির্মাণে
প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা, যা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। ইউনিয়ন
পরিষদ থেকে শুরু করে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না।”
দুর্নীতির
বিরুদ্ধে বিএনপি দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর
নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির আহবায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের
সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে দলের ঢাকা
বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, সহ-শ্রম বিষয়ক
সম্পাদক হুমায়ূন কবীর খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সালাহ উদ্দিন সরকারসহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য
রাখেন।
