দেশটির জেনারেল স্টাফ বলছে, রুশ বাহিনীর
মনোযোগ এখন পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, এজন্যই তারা প্রায় পুরো
ফ্রন্টলাইন বরাবর ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করছে।
তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সেনারা মাত্র
দুটো এলাকা- পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রেমিন্না ও আরেকটি ছোট শহর দিয়ে ভেতরে ঢুকতে পেরেছে
বলে লুহানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন শ্রেহি হাইদাই জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, রুশরা ক্রেমিন্নার নিয়ন্ত্রণ
নিলেও শহরটির সড়কগুলোতে তুমুল যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার থেকে রাশিয়াকে ইউক্রেইনে হামলার
তীব্রতা বাড়াতে দেখা যাচ্ছে; দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পার্শ্ববর্তী
খারকিভসহ একাধিক দিক দিয়ে অগ্রসর হতে চেষ্টা করছে তারা।
ইউক্রেইনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে, রাশিয়ার
বাহিনী এখনও মারিউপোল অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং সেখানে গোলা ছুড়ছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য
শহরে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ
ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, এক রাতেই তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান বাহিনী এক হাজার ২৬০টি লক্ষ্যে
আঘাত হেনেছে।
এর মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর
স্লোভিয়ানস্কসহ দনবাস অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর ১৩টি অবস্থানে আঘাত
হেনেছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র।
পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টলাইনের কাছে বেশ কয়েকটি
শহরসহ ইউক্রেইনের ৬০টি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করারও দাবি করেছে তারা।
এছাড়াও রাশিয়ার বিমানবিধ্বংসী বাহিনী দোনেৎস্ক
এলাকায় ইউক্রেইনের একটি মিগ-২৯ বিমান ভূপাতিত করেছে, ভাষ্য তাদের।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব দাবির
সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি বিবিসি।