ক্যাটাগরি

এবার ১৫ ব্রোকারেজ হাউজের প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিস

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিংবা
প্রধান নির্বাহীদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)
নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “উত্তর সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মঙ্গলবার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটিসহ এসব হাউজের লেনদেনের আগে
‘প্রি-অর্ডার সেশনে’ আগের দিনের চেয়ে ২ শতাংশ কমিয়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন
দরে শেয়ার বিক্রির আদেশকে বাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে দেখছে বিএসইসি।

এর আগের দিন সোমবার প্রায় একইভাবে দিনের লেনদেনের শুরুতে দর উল্লেখ না করে ‘মার্কেট প্রাইসে’ শেয়ার
বিক্রির অভিযোগে কমিশন ৯ ব্রোকারেজ হাউসের ১৫ ট্রেডারকে বরখাস্তের নির্দেশ
দিয়েছে।

এরপর দিন মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ১৫ হাউজ থেকে আবারও এভাবে
শেয়ার বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়।

হাউজগুলো হল- শাহেদ সিকিউরিটিজ, ব্যাংক
এশিয়া সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি
সিকিউরিটিজ, এস
অ্যান্ড এইচ ইক্যুইটিজ,
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ,
বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউসিবি
স্টক ব্রোকারেজ, গ্লোব
সিকিউরিটিজ, শান্তা
সিকিউরিটিজ, শেলটেক
ব্রোকারেজ, আইসল্যান্ড
সিকিউরিটিজ, কাইয়ূম
সিকিউরিটিজ ও মিডওয়ে সিকিউরিটিজ।

কমিশনের মুখপাত্র রেজাউল বলেন, “পুঁজিবাজারে লেনদেন
শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে এই ১৫টি ব্রোকারজে হাউজ থেকে ভালো ভালো শেয়ার সর্বনিম্ন
দামে বিক্রি করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। লেনদেন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সেসব লেনদেন
সম্পন্ন হয়ে গেলে হঠাৎ করে ডিএসইর সূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট কমে যায়।

শুরুতেই সর্বনিম্ন শেয়ারদর: ১৫ ট্রেডারকে বরখাস্তের নির্দেশ
 

“এরকম লেনদেনের কারণ জানতে চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। উত্তর সন্তোষজনক
না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সবশেষ নিয়ম অনুযায়ী, এখন একদিনে কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ২
শতাংশ কমতে পারে।

টানা নিম্নমুখী বাজারে সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দিন
শেষে

ডিএসইএক্স সূচক ৪৮ পয়েন্ট বা পৌনে ১ শতাংশ বাড়লেও দিনের
শুরুতে আগের কয়েকদিনের মত নিম্নমুখী প্রবণতাতেই লেনদেন শুরু হয়।

পরে বেশির ভাগ শেয়ারের দর অনেক কমে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে শেয়ার
কেনার পরিমাণ বাড়লে পতন থামে। একই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা লেনদেনও বেড়ে ৬০০
কোটি টাকা ছাড়ায়।

এর আগে বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির বিভিন্ন পদক্ষেপ কাজ না
আসলে গত কয়েক দিন ধরে চলা এ পতন থামাতে সোমবার থেকে তদারকি বাড়ানো হয়। এতে দুদিনে
হাউজগুলোর এমন কার্যক্রম চোখে পড়ে; যাকে আইন লঙ্ঘন বলছে কমিশন।