উমরানের গতির ঝলক প্রথম দেখা যায় গত আইপিএলে। সেবার স্রেফ তিনটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও নিজের প্রতিভার জানান দেন। ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ঝিলিক দেখেই এবার মেগা নিলামের আগে কাশ্মীরের এই ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারকে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তিনি আশাহত করেননি দলকে।
চলতি আসরে ৬ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত তার শিকার ৯ উইকেট। প্রথম দিকে একটু খরুচে ছিলেন, প্রথম ৩ ম্যাচে উইকেট ছিল স্রেফ ২টি। তবে পরের ৩ ম্যাচে ধরেছেন ৭ শিকার। সবশেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা। অবিশ্বাস্যভাবে সেদিন ২০তম ওভারে মেডেনসহ তিনি নেন তিন উইকেট।
গতি আর আগ্রাসন দিয়েই মূলত নজর কেড়েছেন উমরান। ১৫০ কিলোমিটার গতির আশেপাশে বোলিং করছেন তিনি নিয়মিতই। আইপিএলে ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মাইকেল ভন, কেভিন পিটারসেনের মতো সাবেকরা টিভিতে দেখে মুগ্ধ। তাকে শিগগিরই ভারতের জাতীয় দলে দেখছেন অনেকেই।
বিশপ নিজে একসময় ছিলেন ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার। চোটের কারণে তার সম্ভাবনা পূর্ণতা পায়নি। তবে ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের একটি জায়গা তিনি করে নিতে পেরেছেন। তরুণ প্রতিভা চেনার ক্ষেত্রেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি যথেষ্টই। এবার তিনি স্টার স্পোর্টসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন উমরান মালিকের বোলিং দেখে।
“গত বছর দেখার পর থেকেই এই ছেলেটিকে নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। জেনুইন পেস, আপনি সুপারমার্কেটে গিয়ে এটা কিনতে পারবেন না। কাউকে লাইন-লেংথ রপ্ত করতে শেখানো যেতে পারে, কিন্তু গতিময় বোলিং শেখানো যায় না। দারুণ আগ্রাসী বোলিং করছে সে, তার মানে সেরা ব্যাটসম্যানরাই তাকে খেলতে অস্বস্তিতে পড়বে।”
“জফ্রা আর্চার, লকি ফার্গুসনদের মতোই ভীতি জাগানিয়া বোলিং করছে সে। ডেল স্টেইন (হায়দরাবাদের বোলিং কোচ) তাকে দারুণ পছন্দ করে। উমরান মালিক কত বড় হয়ে উঠতে পারে, এই সম্ভাবনা আমাকে দারুণভাবে নাড়া দিচ্ছে। ফিট থাকলে সে ভারতের হয়ে খেলবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলবে।”