ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গাজী
দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন।
তাছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এক হাজার টাকা
করে জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়ারও রায়
দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার রাণীশংকৈল
উপজেলার বলঞ্চা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৬২), তার ছেলে ইউনুছ আলী (৩৭), একই গ্রামের বদির
উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলী (৪২), চন্দনচহট গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে আবুল জলিল
(৩৯), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বাঙ্গাটলি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কফিল উদ্দিন
(৫২)।
তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম ও সেকেন্দার আলী
পলাতক রয়েছেন। বাকি তিন আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও তিন আসামি
ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেন, খলিলুর রহমান ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ মামলার
নথির বরাতে জানান, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর গোকরাপাড়া
গ্রামের মোজাম্মেল হককে (২৮) হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানার তৎকালীন এসআই
মো. আতিকুল ইসলাম মামলা করেন। পুলিশ ওই মাসেই ইউনুস আলী, আব্দুল জলিল ও কফিল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা ১৬৪ ধারায়
দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক
মোজাম্মেল হক আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী হামিদ বলেন, এ মামলায় মোট ১৮ জন
সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এই শাস্তি দিল।
পলাতকরা ধরা পড়লে সেদিন থেকে তাদের সাজা শুরু হবে।