মঙ্গলবার সিডিএ ভবনের ছাদে ড্রোন উড়িয়ে নতুন
মাস্টারপ্ল্যান এর মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিডিএ চেয়ারম্যান
জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন।
এ বারের মহা পরিকল্পনায় ‘ফিজিক্যাল ফিচার
সার্ভের’ তথ্য-উপাত্ত যাচাইয়ে ড্রোন সার্ভেও করা হবে।
‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মহাপরিকল্পনা
(২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ নামের প্রকল্পটি সিডিএ’র তৃতীয় মহা পরিকল্পনা।
এর আগে ১৯৬১ সালে প্রথম এবং ১৯৯৫ সালে ২০
বছর মেয়াদী দ্বিতীয় মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাও
(ড্যাপ) করেছিল সিডিএ।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিডিএ চেয়ারম্যান
বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সঙ্গে মিল রেখে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার
মহাপরিকল্পনা (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
“সব সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নিয়ে
এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরের জন্য একটি যুগোপযোগী মাস্টারপ্ল্যান (স্ট্রাকচার
প্ল্যান, আরবান এরিয়া প্ল্যান, অ্যাকশন এরিয়া প্ল্যান) করা হবে। আগের মাস্টারপ্ল্যান
ও ড্যাপে যেসব সূক্ষ্ম ভুল-ভ্রান্তি ছিল তা নতুন এবার নিরসন করা হবে।”
এই প্রকল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার
করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এবার ভূতাত্ত্বিক জরিপ হবে। যার মাধ্যমে মাটির গুণাগুণ
জানা যাবে। আর এই মাস্টারপ্ল্যানে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।”
প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএ’র উপপ্রধান নগর
পরিকল্পনাবিদ ও মো. আবু ঈসা আনছারী বলেন, ২০ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায়
২৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কারিগরি সহযোগিতা দিতে একটি পরামর্শক
প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ করা হয়েছে।
দুই বছরের মধ্যে এই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের
কাজ শেষ করতে চায় সিডিএ। প্রথম দিন কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ভূতাত্ত্বিক
জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এসময় সিডিএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।