বিয়ে করার শর্তেই আসামি মো. হাসানুজ্জামানকে বিচারক জামিন দেন জানিয়ে
বাদীর আইনজীবী বলেছেন, এরপর আদালতেই ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বাদী ও আসামির বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আসামি হাসানুজ্জামানকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। জামিনের আদেশ
হওয়ায় অচিরেই তিনি কারামুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের সাবেক প্রকৌশলী হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে
গত ৬ মার্চ ওই নারী ধর্ষণের মামলা করার পর দেড় মাস ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালে ফেইসবুকে বাদীর সঙ্গে হাসানুজ্জামানের
পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে গত বছরের
১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদাবরের একটি বাসায় হাসানুজ্জামানের সঙ্গে ওঠেন তিনি।
কিন্তু এরপর হাসানুজ্জামান বিয়ে করতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন বলে বাদীর
অভিযোগ। তিনি বলেন, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হাসানুজ্জামান
বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
আদাবর থানায় ওই নারী মামলা করার পর পুলিশ হাসানুজ্জামানকে গ্রেপ্তার
করে কারাগারে পাঠায়।
আইনজীবী আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, হাসানুজ্জামান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম
আদালতে আদালতে জামিন চেয়েও না পেয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোছ্ম্মৎ বিলকিছ আক্তার মঙ্গলবার
বিয়ের শর্তে জামিনের আদেশ দেন বলে এ আইনজীবী জানান।
তিনি বলেন, “শুনানিকালে আসামিকে হাজির
করা হয়, বাদীও হাজির ছিলেন। আদালত ভিকটিমকে বিয়ে করার শর্তে জামিন দেন। এরপর ১২ লাখ
টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।”
আদালত এলাকায় এই বিয়েতে কয়েকজন আইনজীবী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্য উপস্থিত
ছিলেন।
হাসানুজ্জামানের আইনজীবী বলেন, দেড় মাস ধরে কারাগারে হাসানুজ্জামান।
তিনি কারামুক্ত হতে বাদীকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।