তাই নিজের প্রয়োজন কতটুকু তা জানার রয়েছে
উপায়।
যু্ক্তরাষ্ট্রের সনদস্বীকৃত চিকিৎসক ড্রিউ
সিনাট্রা রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলোর
বাহক হল পানি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর ভূমিকাই মুখ্য। পাশাপাশি শরীর থেকে বর্জ্য
ও বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া, হাড়ের জোড়গুলো পিচ্ছিল রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা,
মনযোগ ও কর্মশক্তি বাড়ানো, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা এসবই পানির কাজ। আর শরীরের
প্রতিটি কোষ পানি ব্যবহার করে। তাই পানি না থাকলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ থমকে
যাবে।”
কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন
সিনাট্রা বলেন, “বয়স, দৈনিক শারীরিক পরিশ্রমের
মাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, ওষুধ ইত্যাদিসহ আরও অনেক বিষয় একজন মানুষের দৈনিক পানির
চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। বিভিন্ন গবেষণার দৈনিক পানি পানের চাহিদা বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন
ভিন্ন। তবে গড় হিসেবে দৈনিক আট আউন্স পানি পান করতে হবে এই পরামর্শে বিশেষজ্ঞরা সহমত
হন।”
এর পুরোটাই যে গ্লাস থেকে পান করা পানি
হতে হবে তা কিন্তু নয়। প্রতিদিন যত খাবার ও পানীয় পান করছেন, তার সমষ্টি হতে হবে আট
আউন্স।
মার্কিন পুষ্টিবিদ সেরেনা পুন বলেন,
“প্রতিদিন দুই লিটার পানি পান করলে বাকিটা অন্যান্য খাবার ও পানীয় থেকে পূরণ হওয়া সম্ভব।”
পানির চাহিদা মিটছে কি-না তা বোঝার উপায়
সম্পর্কেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রস্রাবের রং
সিনাট্রা বলেন, ‘গ্লাস, লিটার, আউন্সের
হিসেবে শুরুর আগে প্রস্রাবে রং দেখুন। প্রস্রাবের রং ও দিনে কতবার হচ্ছে তা দিয়ে শরীরের
আর্দ্রতার মাত্রা বোঝা সম্ভব।”
প্রতি ৯০ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টায় একবার
প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। প্রস্রাবের রং হলুদ হলে, ছয় ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় পর পর
প্রস্রাব হলে ধরে নিতে পারেন আপনার আর্দ্রতার অভাব আছে।
আবার আধা ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হলে আর
তার রং পানির মতো স্বচ্ছ হলে বুঝতে হবে পানি প্রয়োজনের বেশি পান করছেন।
ত্বকের নমনীয়তা
শিশু ও বৃদ্ধদের শরীরের আর্দ্রতার মাত্রা
বোঝার দারুণ উপায় হল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও নমনীয়তা পরীক্ষা করা।
হাতের তালুর উল্টোপাশের ত্বক চিমটি দিয়ে
কিছুক্ষণ ধরে রেখে ছেড়ে দিন। ত্বক যদি সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায় তবে
শরীরে পানির যোগান আছে পর্যাপ্ত।
আর যদি স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে সময় নেয়
তবে আরও পানি পান করতে হবে আপনার।
পানির অভাবের অন্যান্য লক্ষণগুলো হল মাথা
ঘোরানো, মস্তিষ্ক ঘোলাটে মনে হওয়া, অবসাদ।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন