মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়
সভায় নগরবাসীকে রোজা চলাকালীন এবং
ঈদের ছুটির সময়ে নিরাপত্তা জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি বাসিন্দাদেরও দেখতে হবে। পুলিশ বাড়ির বাইরে থাকবে।”
নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে বাসা-বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর
দিয়ে বাসিন্দাদের বাসা খালি রেখে সবাইকে ‘চলে না যাওয়ার’ পরামর্শ
দেন
সালেহ মোহাম্মদ।
“নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে সচেতন
হতে হবে। আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব,” – বলেন তিনি।
পুলিশ
কমিশনার বলেন, “ঈদের আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নগদ টাকা বহন করে থাকে। সেজন্য আমরা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার জন্য তাদের বলেছি। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলোকে
গাড়ি দিয়েও আমরা সহায়তা করব।”
“বিভিন্ন মার্কেট ও এটিএম বুথগুলোর
দায়িত্বরত লোকজনদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে পুলিশের পাশাপাশি তারাও
দায়িত্ব পালন করছে কি না, তদারকি
করা হবে।”
ঈদের ছুটিতে আনন্দ উদযাপনের বিষয়ে
সালেহ মোহাম্মদ বলেন, “আনন্দ, উৎসবে সবার অধিকার আছে।
কিন্তু সেটা যেন গণ-উপদ্রবে পরিণত
না হয়। সবকিছু সীমারেখার মধ্যে করতে হবে।
“রাস্তাঘাটে যারা উচ্চস্বরে গান
বাজনা করে সেটা যদি উপদ্রবে পরিণত হয়, কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেবে।”
ঈদের
আগে পোশাক কারখানার বেতন পরিশোধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজিএমইসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আমরা কথা বলেছি।
বেতন নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা নাই।
“কয়েকটি কারখানার বেতন নিয়ে তারা
আশঙ্কার কথা জানালেও সে বিষয়টি বিজিএমইএ দেখছে।”
বলী
খেলার মেলায় সড়কের এক পাশ খালি রাখতে হবে
আগামী ২৪-২৫ এপ্রিল লালদিঘী মাঠের
আশেপাশের এলাকায় আব্দুল জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা হবে। আগের দুই বছর মহামারীর
কারণে এ দুটি আয়োজন ছিল না।
এবছরও মাঠের সংস্কার কাজের কারণে
বলী খেলা হবে না বলে
জানানো হয়েছিল। একই কারণে মেলা
কমিটির পক্ষ থেকেও এবছর মেলার আয়োজন
না করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর সমালোচনা
হলে
বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা
আয়োজনে এগিয়ে আসেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম।
মাঠের বাইরে পাবলিক লাইব্রেরির সামনের সড়কে মঞ্চ তৈরি করে বলী
খেলার আয়োজনের কথা বলেন তিন। যেখানে করপোরেশনের পক্ষ থেকে
আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন সিটি মেয়র।
নগরীর কোতোয়ালী থানা মোড় থেকে লালদিঘী চত্বর ও আশেপাশের এলাকায় বসে বৈশাখী মেলা।
যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা
পসরা সাজিয়ে বসেন। সেসময়
তিনদিন সড়কে
যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ বছর ঈদের
আগে এ মেলার কারণে সড়কে যানজট বাড়তে পারে এমন
শঙ্কার কথা উঠে আসে নগর পুলিশ কমিশনারের
মতবিনিময় সভায়।
সালেহ মোহাম্মদ বলেন, “বলীখেলা একদিন দুই ঘন্টার জন্য অনুষ্ঠিত হবে। স্টেজ হবে একটা সময় নিয়ে।”
তিনি
বলেন, “মেলা আয়োজন বিষয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করেনি। আমাদের প্রস্তাবনা
ছিল সিআরবি মাঠে খেলা আয়োজন করার। সেখানে গ্যালারি বাঁধানো আছে। দর্শকরাও উপভোগ করতে
পারত।
“ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েও কোনো চাপ
সৃষ্টি হতো না। আয়োজকরা যেহেতু এখানেই করতে চাচ্ছেন তাই ট্রফিক ব্যবস্থার ওপর একটু
চাপ থাকবে। সেটা না বলে কোনো উপায় নাই…”
পুলিশের পক্ষ থেকে মেলা না করার প্রস্তাব
দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “মেলা কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে মেলা আয়োজনের। আমাদের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করেছিলাম।
“যেহেতু মেলা আয়োজন করছে,আমরা বলেছি
রাস্তার একপাশ যেন খালি রাখা হয়। আয়োজকরাও আশ্বাস দিয়েছেন জনভোগান্তি দূর করতে সড়কের
এক পাশ খোলা রেখেই মেলা আয়োজন করবে।”