ক্যাটাগরি

কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি হলো না দু প্লেসির

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৯৬ রান করেন দু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়কের
৬৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ২ ছক্কা ও ১১ চারে।

আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চ ৯৬ রানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের
মতো আউট হলেন দু প্লেসি। ২০১৯ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার
কিংসের হয়ে এই রান করেছিলেন ৫৫ বলে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারের শেষ দুই
বলে অনুজ রাওয়াত ও বিরাট কোহলিকে হারায় বেঙ্গালোর। শ্রীলঙ্কার দুশমন্থ চামিরার বলে
ওপেনার রাওয়াত ধরা পড়েন মিড-অফে। আইপিএলে চতুর্থবার গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পান কোহলি
গালিতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর একার লড়াইয়ে দলকে টেনে নেন দু প্লেসি।
শুরুতে কিছুটা সাবধানী ছিলেন তিনি। প্রথম ১৭ বলে রান করেন কেবল ১৬। ধীরে ধীরে বাড়ান
রানের গতি।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ভালো কিছুর আভাস দিয়ে ফিরে
যান। তবে হাল ছাড়েননি দু প্লেসি। তরুণ লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণইকে ইনিংসে নিজের প্রথম
ছক্কায় ওড়ানোর পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পা রাখেন ফিফটিতে, ৪০ বলে। পঞ্চাশের পর ক্রুনাল
পান্ডিয়াকে ওভারে মারেন একটি করে ছক্কা ও চার। বিষ্ণইকে মারেন দুই চার।

একটা সময়ে মনে হচ্ছিল এবার বোধহয় আইপিএল ক্যারিয়ারের
প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েই যাবেন দু প্লেসি। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখতে ইনিংসের শেষ দুই
বলে যখন চার রান দরকার তার, জেসন হোল্ডারের স্লোয়ার বাউন্সারে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে।
শেষ হয় তার দারুণ ইনিংস।

ম্যাক্সওয়েল এক ছক্কা ও ৩ চারে ১১ বলে ২৩ রান
করেন। শাহবাজ আহমেদ করেন ২২ বলে ২৬। ৮ বলে এক ছক্কায় ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দিনেশ
কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ গড়ে বেঙ্গালোর।

লক্ষ্য
তাড়ায় একটা সময় পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনায় থাকলেও শেষ দিকে গিয়ে পেরে ওঠেনি লক্ষ্ণৌ, থেমে
গেছে  ৮ উইকেটে ১৬৩ রানে। ১৮ রানে জিতে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে উঠেছে দু প্লেসির
দল।

লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে এক ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে ৩০ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল। ২৮ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৪২ রান করেন ক্রুনাল। শেষ দিকে মার্কাস স্টয়নিস খেলেন এক ছক্কা ও ২ চারে ২৪ রানের ইনিংস।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের জয়ের পথে বড় অবদান রাখেন জশ হেইজেলউড। অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার ২৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।