ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
তিনি
বলেছেন, “বিএনপি
নেতারা কথায় কথায় গুমের কথা বলেন, অথচ তাদের শাসনামলে অপারেশন ক্লিনহার্টে যাদের
অপহরণ, গুম আর নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, সে কথা তারা একবারও বলে না।”
বিএনপি-জামায়াত
জোট সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি
পর্যন্ত ‘অপারেশন
ক্লিনহার্ট’
নামে সামরিক বাহিনীর অভিযান চলে।
সন্ত্রাস
দমনে বিশেষ এই অভিযান চালানো হয় বলে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও তখনকার
বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বলছিল, তাদের লক্ষ্য করেই সেই অভিযান চালানো হয়।
আওয়ামী
লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর গত এক দশকে হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দলটির
অভিযোগ।
এজন্য
আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক
অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, দেশে এখন ‘দমবন্ধ’ অবস্থা বিরাজ করছে।
তার
প্রতিক্রিয়া জানাতে মঙ্গলবার ঢাকায় নিজের সরকারি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসে
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশ
ঠিকই আছে, আসলে দমবন্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএনপির রাজনীতিতে। অপরাজনীতির চর্চার
কারণে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নবিদ্ধ।”
‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ কি ভুলে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী
‘ক্লিনহার্টে দায়মুক্তি কেন সংবিধান বহির্ভূত নয়’
বিএনপি
ক্ষমতায় থাকাকালে চট্টগ্রামে সেই দলের নেতা জামালউদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ
গুম করে দেওয়ার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি
বলেন, “বিএনপি
নেতারা রাতদিন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, আর কথায় কথায় বলেন সরকার নাকি
কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। রক্তকণায় যাদের অনিয়ম-লুটপাট, তারা শেখ হাসিনা
সরকারের কোনো ভালো কাজ সহ্য করবে না, এটাই স্বাভাবিক।”
মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের
অর্থনীতিতে এখন ফিরে আসছে চাঙাভাব। বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে অব্যাহত ব্যর্থতায়
এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।
“বিএনপিই
এদেশে একমাত্র চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি, তারাই ক্ষমতালোভী দল। গণতন্ত্র রক্ষার
নামে তাদের যে মুখরোচক বক্তব্য, তার আড়ালে উঁকি মারে ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং
কারফিউ গণতন্ত্র।”