ক্যাটাগরি

দুগ্ধ উৎপাদন: ১০০ সমবায় সমিতি গঠনে ১৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প

পুষ্টির যোগান ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় এসব দুগ্ধ সমবায়ের মাধ্যমে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে।

এ জন্য ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; যা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য শরীফা খান।

প্রকল্পের আওতায় ৩৭ জেলার নির্বাচিত ৫০ উপজেলোয় গঠিত সমবায়ের সদস্যদের মাঝে ১০ হাজার ৬০০টি উন্নত জাতের গাভী বিতরণ ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে একদিকে দুগ্ধ উৎপাদন বাড়িয়ে পুষ্টির যোগান দেওয়া হবে; পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাসে এ কার্যক্রম অবদান রাখবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সমবায় অধিদপ্তর ১৫৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরীফা বলেন, “বর্তমানে যেসব এলাকায় দুগ্ধ উৎপাদন কম এমন এলাকা চিহ্নিত করে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

“বর্তমানে যেসব এলাকায় দুগ্ধ উৎপাদন সমিতি নেই- এমন উপজেলাকে প্রকল্পে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এসব উপজেলায় ৫ হাজার প্রশিক্ষিত খামারী ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হবে।“

এছাড়া গবাদী পশুর টিকা ও কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মাধ্যমে পাঁচটি বকনা উন্নয়ন কেন্দ্র এবং ডাটাবেজ ও ফিনান্সিয়াল সফ্টওয়্যার তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, প্রচুর সম্ভাবনার পরও দেশে গাভীপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন আশানুরূপ উন্নতি লাভ করছে না। দেশি জাতের গাভীর কম উৎপাদন ক্ষমতা, উন্নত জাতের গাভীর অভাব এবং গাভীপালনে আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবে দেশে উৎপাদিত দুধের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম।

এমন পরিস্থিতিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নত জাতের গাভীপালন, দুগ্ধ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।