মাশরুম দিয়ে মজাদারসব পদ তৈরি করা যায়।
পাশাপাশি পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবেও এর জুড়ি
নেই। ভিটামিন ডি ও অন্যান্য ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ যোগায় মাশরুম যা অন্যান্য খাবার
থেকে মেলে না বললেই চলে।
আরও মজার ব্যাপার হল বাড়ায় না ক্যালরি,
চর্বি ও সোডিয়ামের মাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘গেটনেকেড নিউট্রিশন’য়ের
প্রতিষ্ঠাতা ও ‘স্লিমডাউন উইথ স্মুদিজ’য়ের রচয়িতা লরা বুরাক বলেন, “মাশরুমের যে বিশেষ
গুণের কথা না বললেই নয় তা হল শারীরিক ও মানসিক চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানো।”
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই
পুষ্টিবিদ আরও বলেন, “শরীরে ‘হোমিওস্টেসিস’ তৈরি করে মাশরুম, যে পদ্ধতিতে শরীরের অভ্যন্তরিক,
বাহ্যিক ও জৈব রাসায়নিক দিক থেকে এমন একটি পরিস্তিতি তৈরি হয় যা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়
অনুকুল পরিবেশের জন্য আবশ্যক।”
“আজকাল মাশরুমের সঙ্গে আরেকটি শব্দ শুনতে
পাওয়া যায়, তা হল ‘অ্যাডাপ্টোজেনস’। কিছু নির্দিষ্ট জাতের মাশরুমে এই গুণ মিলছে যা
সব ধরনের চাপের সঙ্গে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা বাড়ায়। তবে একটি খাবারে
গুণাগুণ শুনে তার দিকে পুরোপুরি ঝুঁকে না গিয়ে জীবনযাত্রার পুরোটাই নজরে আনা উচিত।”
‘জার্নাল অফ অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার’য়ে
প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ‘পেন স্টেট ক্যান্সার ইন্সটিটিউট’য়ের করা এক গবেষণার ফলাফল
থেকে জানা যায়, যারা ‘হোয়াইট বাটন’, ‘শিটেক’, পোর্টেবেলো’ ইত্যাদি জাতের মাশরুম খান
নিয়মিত, তাদের হতাশাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অন্যান্যদের তুলনায় কম।
এই গবেষণার জন্য তথ্য নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের
‘ন্যাশনাল হেল্থ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেইশন সার্ভে’ থেকে।
২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ২৪,৬৯৯
জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য আছে ওই জরিপে। সেই সঙ্গে নিয়মিত মাশরুম খান এমন অংশগ্রহণকারীদের
দুটি ২৪ ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে জেনে নেওয়া হয় আরও বিস্তারিত তথ্য।
অংশগ্রহণকারীদের হতাশার মাত্রা পরিমাপ
করা হয় ‘পেশেন্ট হেল্থ কোয়েশ্চেনারি মাল্টিভ্যারিয়েবল লজিস্টিক রিগ্রেশন মডেল’য়ের মাধ্যমে।
বিবেচনায় রাখার হয় যেকোনো ‘সারপ্রাইজ ফ্যাক্টর’।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা নিয়মিত মাশরুম
খান তাদের হতাশাগ্রস্ততার মাত্রা কম দেখা যায়।
বুরাক বলেন, “মাশরুমের নির্যাস মেশানো
কফি, কফি ক্রিমার ইত্যাদি বাজারে আসছে। আর অনেক রান্নার পদে এটি যোগ করা যায়। খেতে
অনেকটা মাংসের মতো হওয়ার কারণে শাকাহারি ও মাংসাশি সবার জন্যই এই সবজি মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর।”
এটি রান্না হয় দ্রুত, খাবারের পরিমাণ
বাড়িয়ে দেয় এবং পুষ্টিগুণও বাড়ায়। সেই সঙ্গে যোগায় ভোজ্য আঁশ, বি ভিটামিনস, সেলেনিয়াম,
কপার ইত্যাদি।
ভিটামিন, খনিজ ও সমষ্টিবদ্ধ ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’,
সবকিছু মিলিয়ে মাশরুমকে বলা যায় ‘পাওয়ার হাউজ’।
মাশরুমে যে দুটি ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’
মেলে তা হল ‘এরগোথিয়োনাইন’ আর ‘গ্লুটাথিয়োন’। বয়স বাড়ার কারণে শরীরের যে ক্ষয় হয় তার
গতি কমায় এই দুই উপাদান।
আরও পড়ুন