ওই দুই বন্দি শন পিনার এবং অ্যাইডেন অ্যাসলিন টিভিতে কথা বলার সময় চাপের মুখে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঞ্চালনায় তারা আলাদা আলাদা কথা বলেছেন। রোসিয়া ২৪ টেলিভিশন চ্যানেলে তাদের ওই ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করা হয়।
ভিডিওতে খানিকটা ক্লান্ত ও ভীত পিনারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। তারপরও আমি আমার সরকারের কাছে আমাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করার আবেদন করতে চাই। আমি আবার আমার স্ত্রীকে দেখতে চাই।”
পিনার সরাসরি বরিস জনসনের কাছে তার এবং অ্যাসলিনের হয়ে মুক্তির আবেদন জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই মেদভেদচুকের সঙ্গে আমার ও অ্যাইডেন অ্যাসলিনকে বিনিময় করা হোক। অবশ্যই এই বিষয়ে আপনার সাহায্যকে আমি সাধুবাদ জানাব।”
নিজেরা অল্পস্বল্প রুশ ভাষা বলতে পারেন এবং তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অস্বস্তিতে থাকা অ্যাসলিনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি মনে করি ওকসানা (মেদভেদচুকের স্ত্রী) কী বলছেন বরিসের সেটা শোনা প্রয়োজন “
‘‘যদি বরিস জনসন ব্রিটিশ নাগরিকদের যেভাবে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন, সেভাবেই তা করেন তবে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন।”
সোমবার প্রায় কাছাকাছি সময়ে ইউক্রেইনের এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে মেদভেদচুককে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কির কাছে মারিউপোলে আটকে পড়া ইউক্রেইনীয় সেনা বা যেকোনো বেসামরিক নাগরিকের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাতে দেখা যায়।
পিনার ও অ্যাসলিন দুইজনই মারিউপোলে ইউক্রেইনের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন। দেশটির সর্ববৃহৎ বন্দর নগরী মারিউপোলের পতন হয়েছে। রুশ বাহিনী পুরো নগরীর দখল নিয়েছে।
মেদভেদচুককে মনে করা হয় ইউক্রেইনে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ২০২১ সালের মে মাস থেকে ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেইনে হামলা শুরুর তিনদিন পর তিনি পালিয়ে যান।
তবে গত মঙ্গলবার মেদভেদচুককে আটক করে ইউক্রেইনের নিরাপত্তা বাহিনী। পরে তার স্ত্রী ওকসানা এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার হাতে বন্দি দুই ব্রিটিশ যোদ্ধাকে তাদের মুক্তির বিনিময়ে তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছে সহায়তা চাওয়ার আহ্বান জানান।