ক্যাটাগরি

ম্যাপ আনব্লার: ইউক্রেইনের অভিযোগ অস্বীকার গুগলের

ইউক্রেইনের ‘আর্মডফোর্সেসইউকেআর’-এর এক টুইট পোস্টে অভিযোগটি এসেছে গেল সোমবার। এ ছাড়া, কয়েকটি স্যাটেলাইট চিত্র রয়েছে টুইট পোস্টটিতে, যেখানে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম দেখা যাচ্ছে।

 

টুইট বার্তাটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়:

“প্রতি পিক্সেলে প্রায় আধা মিটার রেজুলিউশনে বিভিন্ন রাশিয়ান লঞ্চার, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ, কমান্ড পোস্ট ও গোপন ল্যান্ডফিল এখন সবাই দেখতে পারছে।”

পোস্টটির উদ্ধৃতি দিয়েছে ‘দ্য মস্কো টাইমস’। পাশাপাশি, টুইটটির একটি ইংরেজি অনুবাদ অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

সেই টুইটের ছবিগুলোর অন্তত একটি ছবি রয়েছে গুগল ম্যাপে, যেটি সক্রিয় একটি রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিকে চিত্রিত করছে বলে উঠে এসেছে ভার্জের যাচাইয়ে।

এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য ঘাঁটিও গুগল ম্যাপে দেখানোর কথাও উঠে এসেছে ভার্জের প্রতিবেদনে। গুগল অবশ্য বলছে, বিষয়টি ‘নতুন কিছু নয়’।

“রাশিয়ার স্যাটেলাইট চিত্রে আমরা ‘ব্লার’ সম্পর্কিত কোনো পরিবর্তন করিনি।”–ভার্জকে জানিয়েছেন গুগলের মুখপাত্র জেনেভিভ পার্ক।

ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো সম্ভবত আসল। কারণ, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের আগেই সেগুলো গুগল ম্যাপে ছিল। গুগল অবশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

সামরিক এলাকাসহ সম্ভাব্য সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে গুগলের ম্যাপ ‘ব্লার’ করে দেওয়ার বিষয়টি সবারই জানা।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ফরাসী বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ৭০৫ ‘পিক্সলেট’ করেছে গুগল ম্যাপ।

যদিও অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেগুলো গুগল ম্যাপে সবাই দেখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেলিস এয়ার ফোর্স বেইজ’, এমনকি কুখ্যাত ‘এরিয়া ৫১’-এর বিস্তারিত স্যাটেলাইট ছবি দেখা যায় গুগল ম্যাপে।

এটিও লক্ষণীয়, প্রধান দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর সেসব স্যাটেলাইট ছবিতে প্রবেশের অধিকার রয়েছে, যেগুলো গুগল থেকে পরিবর্তনের আওতাধীন নয়।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পরপরই দেশটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল। দেশটিতে বিজ্ঞাপন বিক্রি বন্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, কিছু রাশিয়ান ব্যবহারকারীর জন্য গুগল পে’র প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে এবং রাশিয়ান গণমাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্টের ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালানো বন্ধ করেছে গুগল।

অন্যদিকে, গুগলকে জরিমানার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। কারণ, ইউটিউবে এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যেখানে সামরিক আগ্রাসন নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুতিন প্রশাসন।